এএইচ রাফি: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবলীলা পরিদর্শনে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, তারা (হেফাজত ইসলাম) ইসলামের হেফাজত না করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমার অবাক লাগে, কিভাবে আমার মাদরাসার ভাইদের মিথ্যা কথা বলে, ভুল বুঝিয়ে মাঠে নামাচ্ছে। আমাদের মাদরাসা ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে বলছি, আধুনিক ও ডিজিটাল যুগে তারা যেন সচেতন হন। কারো মিথ্যা আশ্বাসে মাঠে নেমে যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করেন।
[৩] বুধবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এ কথা বলেন।
[৪] এসময় নাহিয়ান খান জয় বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আজকে যারা ৭১ আদলে স্বাধীনতার মাসে বিশৃঙ্খল করে, যারা আগুন সন্ত্রাসী করে, ইসলামের নাম ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলাতা সৃষ্টি করে। তারা কখনো ইসলামকে হেফাজত করে না। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের চালানো তান্ডবকে জঙ্গী কার্যক্রম উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানান।
[৫] জয় বলেন, তারা আমাদের জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়িঘর পুড়িয়ে ক্রান্ত হয়নি তারা আমাদের বাবা- মায়ের উপরও হাত তুলেছে। এ ধরনের কাপুরুষ কুলাঙ্গাদের আমরা বিচার চাই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মাঠে আছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত।
[৬] এর আগে হেফাজতের তান্ডবে ভাংচুর ও অগ্নিকাণ্ডের শিকার জেলা ছাত্রলীগের সভা ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বে একটি দল।
[৭] এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুরাদ হায়দার টিপু, ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, সজীব, সাইফ বাবু, রাকিব হোসেন, ইয়াজ আল, রিয়াদ, মহিন উদ্দিন, তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির, তিলোত্তমা শিকদার, দেবাশিষ শিকদার, সিদ্ধার্থ, জিয়াসমিন আরা রুমা, তানজিদুল ইসলাম শিমুল, নুরে আলম আশিক, রায়হান উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক, মো. নাজিম উদ্দিন, মো. ফেরদৌস আলম সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারাসহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :