কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] সোমবার ব্রাসেলসে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হোসেন হাক্কানি বলেন, পাকিস্তান সরকার গণহত্যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে এখন পর্যন্ত সে ধরনের কোনও ইঙ্গিত নেই। কিন্তু পাকিস্তানের জনগণের উচিত তাদের সরকারকে আহ্বান করা, যাতে তারা বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে সংঘটিত সব ধরনের নির্যাতনের জন্য ক্ষমা চায়।
[৩] মহাত্মা গান্ধি ও নেলসন ম্যান্ডেলা যে ধরনের নেতা ছিলেন, বঙ্গবন্ধুও একই ধরনের নেতা ছিলেন।
[৪] পূর্ব পাকিস্তান ছিল ওই সময়ে সোনার ডিম পাড়া হাঁস। কারণ, বেশিরভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হতো এই পূর্বাঞ্চল থেকে। পাকিস্তানের সামন্ত শাসকরা কখনোই বাঙালিদের সমমর্যাদা দেয়নি।
[৫] ১৯৭০ সালে নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতেও তারা প্রস্তুত ছিল না।
[৬] বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সফল দেশ। এই বাংলাদেশের পেছনে অবদান হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
[৭] বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির মধ্যেই সবচেয়ে বিখ্যাত নেতা নন, তিনি দক্ষিণ এশিয়া তথা ইতিহাসের অন্যতম নেতা, যিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের এক প্রতীকী ব্যক্তিত্ব।
[৮] পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালে সামরিক বাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছিল তার জন্য পাকিস্তান ক্ষমা চাইবে এটি সবাই আশা করেছিল। যদিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেষ মুহূর্তে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে গণহত্যার জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেননি।