মনজুর আহমেদ : [২] নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামের আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন।
[৩] তবে হেফাজতে ইসলামের একজন কর্মী হিসেবে তিনি সংগঠনে থাকবেন। হরতাল ইস্যুতে মহানগর নেতাদের অতি বাড়াবাড়ি ও পরদিন দোয়া মাহফিল ভিন্নস্থানে করার অভিযোগ এনে সকল ব্যর্থতার দায় নিজ কাধে নিয়ে আমীরের পদে থাকতে অনীহা প্রকাশ করেছেন আবদুল আউয়াল।
[৪] তিনি জানান, ২৮ মার্চ হরতালের দিন সকালে মসজিদে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। তারা মসজিদের গেটের সামনে তিনটি কামান, সাজোয়া যান পুলিশের গাড়ি দিয়ে বেরিকেড দিয়ে রাখেন।
[৫] আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন মিছিল বের করতে চাইলে অ্যাকশনে যাবেন। প্রয়োজনে গুলি খাবেন। তখন আমি সকলের জানমালের স্বার্থে মসজিদের গেটের বাইরে যেতে বারণ করি। কিন্তু মহানগরের অতি উৎসাহী নেতারা মিছিল করতে চেয়েছিল।
[৬] যদি সেদিন মিছিল করতে গিয়ে আমাদের উপর গুলি ছোড়া হতো, কেউ লাশ হতো তখন তো এ আবদুল আউয়ালকে দোষারোপ করা হতো। মসজিদে গুলি ছুড়লে ঝাঝরা হয়ে যেত।
[৭] এ কারণে আমাদের উপর অনেকেই ক্ষুব্ধ। তারা আজকে ডিআইটি মসজিদে বাদ আছর দোয়া না করে দেওভোগে করেছে। কারণ আমাকে তো বাদ দিয়েই দিছে। তাই আমি আর দল করবো না। ভবিষ্যতে আর নেতৃত্ব দিব না।
[৮] মসজিদ মাদ্রাসা নিয়েই থাকবো। আমার এখন বার্ধক্য বয়স তাই আমি ভবিষ্যতে আর নেতৃত্বে থাকবো না। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :