মুরাদুল ইসলাম: একটা বয়ান হইলো, মাদ্রাসার গরিব দরিদ্র অভাবী ছেলেমেয়েদের, সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামাইয়া দেয় তাদের নেতারা। যেভাবে গরিব, অভাবী ইত্যাদি বলা হয়, যেন কী মায়া তাদের জন্য!
হা হা। দেশ তাদের জন্য আসলে কী করে খবর নেয় না কখনো। এখন তারা ইট-পাটকেল মারতেছে, নিজেদের গায়ে লাগতেছে সেই ইট, তাই তারা দরদী সাজতেছে। যেন মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের প্রতি তাদের মায়া। ইতিহাস দেখো, তোমাদের বীর ক্ষুদিরামও তো এমন ছিল অভাবী, দরিদ্র ইয়াতিম পোলা, মতাদর্শে দীক্ষিত হইয়া বুম মাইরা নিজে গেছে ফাসিকাষ্ঠে। আর বুঝলাম, মাদ্রাসার গরিব পোলাপানদের বুঝাইয়া নেতারা মাঠে নামাইয়া প্রাণ বিপন্ন করতেছে, আর তোমরা যারা চিন্তায় গরিব, দরিদ্র ও বিপন্ন তাদের মাঠে নামাইতেছে কারা? স্বপ্রণোদিত হইয়াই তো নামতেছ, কিন্তু আইডলজি ডেভেলপ হইছে তোমাদের ধীরে ধীরে। সেই আইডলজিই তোমাদের কাজ করায়। যেমন ওই মাদ্রাসার ছাত্রদের একটা আইডলজি মাঠে নামায়। তোমরা লাশের সঙ্গে পাকিস্তান গুণ করে দিয়ে লাশরে মূল্যহীন বানাইয়া দেও। ইট ইজ রং।
এই প্রক্রিয়ায় তোমরা বিভেদই বাড়াইবা দিন দিন। সংঘাতের পথ তৈরি করবা। ২০১০ থেকে ১৬ এই ছয় বছরে তোমাদের ধনী পরিবারের আয় বাড়ে এক চতুর্থাংশ করে, আর গরিবের আয় কমে তিন ভাগের এক ভাগ, এই অবস্থা লং রানে সিস্টেমরে টিকাইয়া রাখতে পারবে না। যদি রাখেও, সোশ্যাল আনরেস্ট দেখবোই। ফেসবুক থেকে