ফরিদুল মোস্তফা: [২] কক্সবাজারের উখিয়ায় বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘর নতুন করে নির্মাণ করতে ব্যস্ত সময় পার করছে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গারা। এছাড়া বিভিন্ন সেবা সংস্থার নেতৃত্বে সুপীয় পানি, শুকনা খাবার বিতরণ করেন।
[৩] রোহিঙ্গারা জানান, প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন সেবা সংস্থার সাহায্যে বাঁশ, কাঠ ও ত্রিপল দিয়ে কোনো রকম বাসযোগ্য বসতি নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবে বলে মনে করছে এই ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গারা।
[৪] বুধবার (২৪ মার্চ) ঘটনাস্থল ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে আরো দেখা যায়, বেশকিছু সেবা প্রদানকারী সংস্থা ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের খাবার, পানি, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন।
[৫] এদিকে, পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তুপ থেকে ব্যাপক দুর্গন্ধ ছড়ার বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে। এই দুর্গন্ধ থেকে নানা রকম রোগ হতে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সচেতনরা।
[৬] এ ব্যাপারে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জমিলা বেগম (৬৫) বলেন, কোনো কিছু বুঝে উঠার আগে সব কিছু শেষ। একই ক্যাম্পের তিন সন্তানের জননী রাবেয়া বসরী বলেন, সব কিছু পড়ে ছাই। উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প -৯ এর মাঝি জিয়াবুল হক বলেন, তার ব্লকের ৮৩টি ঘর পুড়ে ছাই। এনজিওরা সাহায্য সহযোগীতা করেছেন।
[৭] এ বিষয়ে এক বেসরকারি সংস্থার স্বাস্থ্যকর্মী জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে নানা ধরনের জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। এখন সেই পুড়ে যাওয়া স্থানগুলো থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে রোহিঙ্গারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
[৮] এদিকে বুধবার (২৪ মার্চ) পুড়ে যাওয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করেছেন। এ সময় তিনি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।
[৯] এর আগে বুধবার দুপুর একটার দিকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) শাহ্ রেজওয়ান হায়াত সাংবাদিকদের জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রোহিঙ্গাদের জন্য তাবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে রোহিঙ্গারা নিজ নিজ বসতিতে ফেরা শুরু করেছে।
[১০] সোমবার (২২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে প্রায় ৭ ঘণ্টার আগুনে ১১ জনের মৃত্যুসহ ৯ হাজার ৩’শ ঘরবাড়ি, ১৩৬টি লার্নিং সেন্টার, দুটি বড় হাসপাতাল ও মূল্যবান জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও মসজিদ, দোকানপাট ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :