আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] শনিবার দুপুরে ১টার দিকে গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের তীর্থভূমিতে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, ভিশন ও বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তার আস্থা উদাহরণ হয়ে থাকবে। ‘এর আগে কেউ ভাবেনি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ওড়াকান্দি আসবে। ভারতে থাকা আমার লাখো মতুয়া ভাইবোন ওড়াকান্দি এলে যেমন বোধ করেন, আমিও ঠিক তেমনই অনুভব করছি। আমি তাদের পক্ষ থেকেও এই পূণ্যভূমির চরণ স্পর্শ করেছি।’
[৩] মোদি বলেন, ‘দুই দেশই শক্তভাবে মহামারি মোকাবেলা করছে। মেড ইন ইন্ডিয়া ভ্যাকসির যেনো বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছায়, ভারত সেটিকে নিজেদের কর্তব্য বলে মনে করছে।’
[৪] মোদি বলেন, ‘আমি সবসময় হরিচাঁদ ঠাকুরের পরিবারের কাছে ভালোবাসা ও স্নেহ পেয়েছি। আমার মনে আছে পশ্চিমবাংলায় ঠাকুরনগরের মানুষ আমাকে পরিবারের সদস্যদের মতো ভালোবাসা দিয়েছে। ওগুলো আমার জীবনের সবচেয়ে অমূল্য সময়।’
[৫] মোদি মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গের ঠাকুরনগর আর বাংলাদেশের ঠাকুরবাড়ি পর্যন্ত একই রকমের শ্রদ্ধা, আস্থা ও অনুভূতি রয়েছে।
[৬] মোদি বলেন, কাল ঢাকায় আমি বাংলাদেশের সৌর আর ক্ষমতা আর সংস্কৃতির অপূর্ব প্রদর্শনী দেখেছি। আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। তার মতো নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে পারা আমার সৌভাগ্য
[৭] ‘আজ যেভাবে ভারত ও বাংলাদেশের সরকার দুই দেশের স্বাভাবিক সম্পর্ককে জোড়দার করছে, সাংস্কৃতিকভাবে একই কাজ ঠাকুরবাড়ি বহুদশক ধরে করে আসছে। এক দিক দিয়ে এই স্থান ভারত- বাংলাদেশের আত্মিক সম্পর্কের তীর্থভূমি। আমাদের সম্পর্ক মানুষের সঙ্গে মানুষের, মনের সঙ্গে মানুষ।’
[৮] ‘আজ ভারত ও বাংলাদেশের সামনে যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা সমাধানের জন্য শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রেরণার প্রয়োজন আছে। দু দেশের একজোট হয়ে প্রত্যেকটি চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করা উচিৎ। এটি আমাদের কর্তব্য। এটি দুই দেশের কোটি কোটি মানুষের মুক্তির পথ।’
[৯] ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানান, ওড়াকান্দিতে তার সরকার মেয়েদের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আপগ্রেড করবে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও স্থাপন করা হবে। ওড়াকান্দিতে ভারতের তীর্থযাত্রীরা যেনো আরেকটু সহজে আসতে পারে সে ব্যবস্থাও নেবে তার সরকার।
[১০] মোদি বিশ্বাস করেন, দুই দেশ একাবিংশ শতকের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উন্নতি ও প্রেমের পথে বিশ্বের পথ প্রদর্শন করতে থাকবে।