লিহান লিমা: [২] শনিবার মিয়ানমারের সশস্ত্রবাহিনী দিবসে সেনা প্যারেডের সময় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সেনা শাসন বিরোধী জনতা। শনিবার সকাল না হতেই বিক্ষোভকারীরা ইয়াঙ্গুন, মানদেলে ও কারেন রাজ্যে জড়ো হন। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল থেকে ১২-২২জন বেসামরিক নিহতের খবর পাওয়া গিয়েছে। ইয়াঙ্গুনের ডেল্টায় ৮জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তিনজনের মাথায় গুলি করা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ১৩ বছরের এক স্কুলশিক্ষার্থী। আল জাজিরা
[৩]এর আগে শুক্রবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জান্তা বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ঘোষণা দেয়, ‘ইতোমধ্যে যেসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তা থেকে আপনাদের শিক্ষা নেয়া উচিত যে ( বিক্ষোভে গেলে) আপনারা মাথায় ও পেছন দিকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।’
[৪]বিক্ষোভাকারীদের হুমকি দেয়ার পর শনিবার এক বিবৃতিতে অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল মিন অং হ্লিয়াং নতুন নির্বাচন দেয়ার ও গণতন্ত্র রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনী পুরো দেশের সঙ্গে মিলে গণতন্ত্রের সুরক্ষা করবে।’ এই সময় তিনি স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা ব্যাহত করার জন্য বিক্ষোভকারীদের দায়ী করেন ও অভ্যুত্থানের বৈধতা দাবী করেন। বিবিসি
[৫]গত ১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে এ পর্যন্ত জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে ৩২৮জন প্রাণ হারিয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩ হাজারের বেশি।
[৬]যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জোরদার করলেও দেশটি চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে সমর্থন পাচ্ছে। রয়টার্স
[৭]শনিবারের সেনা প্যারেডে অংশ নিয়েছেন রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলেক্সান্ডার ফোমিন। শুক্রবার তিনি মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ সামরিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত করে সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন। মিন অং হ্লিয়াং রাশিয়াকে ‘মিয়ানমারের সত্যিকারের বন্ধু’ বলে মন্তব্য করেন।
আপনার মতামত লিখুন :