লিহান লিমা: [২] গত বৃহস্পতিবারের জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে ৯ জন প্রাণ হারানোর পর শুক্রবার আবারো সেনা শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও র্যালি করে মিয়ানমারের জনতা। বিক্ষোভকারী পোং নেইং রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা না জেতা পর্যন্ত এই যুদ্ধ থামবে না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়ে যাবো।’ বিক্ষোভকারীরা শনিবারের ‘আমর্ড ফোর্স ডে’তে আরো ব্যাপক বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছেন। রয়টার্স
[৩] শুক্রবার বিশ্বব্যাংকের পূর্বসমীক্ষায় বলা হয়, এই বছর মিয়ানমারের অর্থনীতি ১০ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। ২০২০ সালের অক্টোবরে দেশটির ৫.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করা হচ্ছিলো। বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংক জানায়, ‘সাম্প্রতিক বিক্ষোভ, শ্রমিক ধর্মঘট ও সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলে স্থিতিশীলতা হ্রাস, জনজীবন ব্যাহত, ব্যাংকিং, ইন্টারনেট খাত, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলোতে মারাত্মক প্রভাব প্রড়েছে।’ আনাদুলু এজেন্সি
[৪] থাইল্যান্ড ভিত্তিক অধিকার সংস্থা ‘অ্যাসিস্টেনস এসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজোনারস’ জানায়, ‘প্রতিদিনই মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটছে। গত ১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে মোট ২ হাজার ৯৮১জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। চলমান বিক্ষোভ ও সেনা অভিযানে ৩২০জন নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে ২০জনই শিশু। নিহতদের ২৫ ভাগেরই মাথায় গুলি করা হয়েছে। অর্থাৎ এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। জান্তা সরকার গণবিদ্রোহ দমন করতে রাত্রিকালীন অভিযান, হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন ও ধর-পাকড় চালাচ্ছে।’ আল জাজিরা
[৫] মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ওপর চাপ বৃদ্ধি করতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এককভাবে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত সম্পদ ও ব্যবসার ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়িয়েছে । ১১জন জেনারেলের ওপর পৃথকভাবে নিষেধাজ্ঞারোপের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। সিএনএ
[৬] মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষ র্যাপোর্টার থমাস অ্যান্ড্রু বলছেন, জান্তাবিরোধী কূটনৈতিক পদক্ষেপ অত্যন্ত ‘ধীর’। অতিসত্ত্বর এই সংকট মোকাবেলায় জরুরি সম্মেলনের আহ্বান করেছেন তিনি। রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :