আখিরুজ্জামান সোহান: [২] বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৈশ্বিক মহামারিসহ বিভিন্ন ভৌগলিক এবং রাজনৈতিক সঙ্কট প্রসঙ্গে কথা বলেন। বিবিসি
[৩] যুক্তরাষ্ট্রে করোনার থার্ড ওয়েভ সামলাতে নতুন পদক্ষেপের কথা জানান বাইডেন। শপথ নেয়ার পর ১০০ দিনের কর্মসূচিতে ১০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা জানিয়েছেলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এক টিকাদানের নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তিনি, যা পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়ে দ্বিগুণ। নিউ ইয়র্ক টাইমস
[৪] বাইডেন বলেন, ‘আমি জানি, এটা উচ্চাভিলাস মনে হতে পারে, তবে এই সিদ্ধান্ত আমেরিকানদের সুরক্ষায় হিতকর হবে বলেই প্রত্যাশা রাখি।
[৫] তিনি আরো বলেন, করোনা মোকাবেলায় আমেরিকার ধারের কাছেও নেই অন্য কোন দেশ, তাই আমি বিশ্বাস করি খুব তাড়াতাড়ি আমরা এই মহামারি মোকাবেলা করতে পারবো। সিএনবিসি
উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে:
[৬] উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক মিশাইল ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ব্যাপারে করা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘পিয়ংইয়ং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ না করলে, আমরাও সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো’।
আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে:
[৭] তালেবানদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের চুক্তির অংশ হিসাবে বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অর্থাৎ ১ মে’র মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি ‘কষ্টসাধ্য’ বলে জানিয়েছেন বাইডেন। তার ভাষায়, ১ মে’র মধ্যে সমস্ত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করা অনেক বেশী কঠিন। রয়টার্স
[৮] মার্কিন সেনারা পুরোপুরি আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘হ্যা, আমরা চলে যাব, কিন্তু কবে বা কখন যাবো সেটি এখনও প্রশ্নবিদ্ধ’।
২০২৪ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গে:
[৯] আগামী নির্বাচনে পুনরায় অংশগ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বাইডেন বলেন, তিনি আশা করেন ২০২৪ সালেও তার সহকর্মী হিসেবে কমলা হ্যারিস তার পাশে থাকবেন।
বেইজিং-ওয়াশিংটনের সম্পর্ক প্রসঙ্গে:
[১০] চীনের সঙ্গে চলমান টানাপোড়েনের ব্যাপারে বাইডেন বলেন, তার প্রশাসন ‘সংঘাত’ নয়, প্রতিযোগীতায় বিশ্বাসী ।
[১১] শি জিনপিংকে একজন স্বৈরাচারী শাসক উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, ‘আমি তাকে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগতভাবে বলেছিলাম আমরা সংঘাত চাই না বরং একটি সুস্থ প্রতিযোগীতা চাই’।
অভিবাসী সঙ্কট প্রসঙ্গে:
[১২] বাইডেন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘ সীমান্ত দিয়ে অনিবন্ধিত অভিবাসী প্রবেশের মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রতি বছর সেই পরিমাণ বেড়েই চলছে’।
[১৩] তিনি আরও বলেন, ‘তাঁর প্রশাসন মানবিক কারণে অভিবাসী শিশুদের দেশে প্রবেশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তবে যে সমস্ত পরিবার আসছে তাদের বেশিরভাগ লোককে আমরা ফিরিয়ে দিচ্ছি ’। ইয়ন
সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :