শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০২১, ০৭:০৬ সকাল
আপডেট : ২৫ মার্চ, ২০২১, ০৭:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শাবান মাসে নফল রোজা রাখার ফজিলত

ইসলামি ডেস্ক: আল্লাহ তাআলার ইবাদাতসমূহের মধ্যে রোজা একমাত্র স্বতন্ত্র ইবাদাত। যার প্রতিদান স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। রমজানে রোজা রাখার পাশাপাশি রাসূল (সা.) সারাবছরই নফল রোজা রাখতেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি নফল রোজা পালন করতেন শাবান মাসে।

এ ব্যাপারে অনেক হাদিস এসেছে-

হজরত আয়শা (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) রমজান ব্যতীত কোনো সময় পূর্ণ মাস রোজা রাখতেন না, তবে শাবান কিছুটা ভিন্ন। কারণ, এ মাসের প্রায় পূর্ণ সময় তিনি রোজা রাখতেন।’ (সহীহ বুখারী, হাদিস নং-১৯৭০, সহীহ মুসলিম ও আবু দাউদ) একই অর্থের একটি বর্ণনা উম্মুল মুমিনিন হজরত উম্মে সালামা (রা.) থেকে হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ সুনানে তিরমিজিতেও এসেছে।

হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজানপূর্ব শাবান মাসে এত অধিক পরিমাণে রোজা রাখতেন যে, রমজান ছাড়া অন্যান্য মাসে এত বেশি রোজা রাখতেন না। উম্মুল মুমিনিনগণ বলতেন, ‘শাবান মাস আসলে আমরা আমাদের ভাংতি রোজাগুলো কাজা করে নিতাম। কারণ রাসূলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন।

রজব মাস আসার সঙ্গে সঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ আমাদেরকে রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করুন এবং রমজান পর্যন্ত পৌছে দিন। রমজানের প্রস্তুতিকল্পেই রাসূলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসে বেশি রোজা রাখতেন এবং দোয়া করতেন।

একটি হাদিসের আলোকে জানা যায়, বান্দার আমল শাবান মাসে আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়। এখানে জেনে রাখা ভালো যে, মূলত তিন সময়ে আল্লাহর কাছে বান্দার আমল পেশ করা হয়। প্রথম হচ্ছে প্রত্যেক দিন ফজর ও আসরের পর বান্দার আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়। সাপ্তাহিক সোম ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমল আল্লাহ তায়ালার দরবারে পেশ করা হয়। বাৎসরিক আমলের রিপোর্ট পেশ করা হয় শাবান মাসে। হাদিসে আমল পেশ করার জন্য শাবান মাসের কোনো তারিখ উল্লেখ করা হয়নি, তাই বান্দার কর্তব্য হচ্ছে সারা মাস গুরুত্ব সহকারে আমল করা।

এ মাসের রোজা পালনের মাধ্যমেই আল্লাহর প্রিয় বান্দাগণ রমজানের রোজার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে থাকেন। সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের ফরজ রোজা পালনের জন্য শাবান মাসের নফল রোজা রাখার মাধ্যমে প্রস্তুতি গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন। ডেইলি বাংলাদেশ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়