শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০২১, ০৫:৪৫ সকাল
আপডেট : ২৬ মার্চ, ২০২১, ১০:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লক্ষ্য অর্জনে মনোসংযোগ অধ্যবসায়-মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ

অনলাইন ডেস্ক: যারা বড় বড় লক্ষ্য অর্জনে সাফল্য লাভ করে থাকেন, তাদের নিজেদের মস্তিষ্কের ওপর অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, যা তাদের কাজের সাথে পরিকল্পনা এবং লক্ষ্যগুলোর সংযোগ তৈরি করে দেয়। এ দক্ষতা যে কেউ অর্জন করতে পারেন। স্নায়বিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা দেখায়, বিশাল লক্ষ্য অর্জনের মূল চাবিকাঠি হ’ল একটি কাজ সম্পাদন করার পাশাপাশি মনোঃসংযোগ, কাজের পরিবেশ ও উপদান নিয়ন্ত্রণ এবং কার্যকরি স্মৃতিশক্তির ক্ষমতাকে অনুক‚লে আনার দক্ষতা অর্জন করা। কর্মভারমুক্ত সময় : কোন জটিল সমস্যা সমাধান করতে হলে মানুষকে মানসিকভাবে বিভিন্ন তথ্য, জ্ঞান এবং বিকল্প উপায়গুলোর মধ্য দিয়ে চলতে হয়। চ্যালেঞ্জ যতই কঠিন হয়, মস্তিষ্কের কার্যকর স্মৃতিতে বিষয়গুলো ধরে রাখা ততই কঠিন হয়ে যায়। এছাড়াও প্রতিবার একটি বিষয় থেকে অন্য বিষয়ের প্রতি মনোনিবেশ করলে পূর্বের কাজটিতে পুনরায় মানিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়াটির জন্য মানুষের উল্লেখযোগ্য মানসিক শক্তি এবং সহায়ক উপাদান প্রয়োজন। মানুষ যত বেশি কাজ মুক্ত সময় বের করতে পারবে এবং যত বেশি বিচ্যুতি এবং বাধা হ্রাস করতে পারবে, ফলাফল তত ভাল হবে।

একই ধরনের সহায়ক পরিবেশ : যদি সময় মতো কাজটি শেষ না যায়, তাহলে পরের বার সেই কাজের উপর মনোনিবেশ করার সময় পরিবেশটিকে একই রাখার চেষ্টা করতে হবে। যেহেতু মানুষের স্মৃতিচারণ পরিবেশের দ্বারা প্রভাবিত হয়, একই ধরনের সহায়ক পরিবেশে কাজ করলে পুরনো কাজের স্মৃতিচারণ করতে সহায়তা করতে পারে এবং আরও দ্রæত নতুন বা পুরনো কাজটি শেষ করতে সহায়তা করতে পারে।

আগাম প্রস্তুতি : হঠাৎ প্রস্ততিতে অতি মাত্রায় মনসংযোগের কারণে লক্ষ্যের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করাতে বাধা সৃষ্টি করে এবং উপলব্ধ মানসিক শক্তির পরিমাণ হ্রাস করে। তাই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করতে গেলে যা কিছু প্রয়োজন, তার আগাম প্রস্ততি গ্রহণ করা উত্তম। অনেকের আগেভাগে কাজের প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সংগ্রহ, তথ্য সংগ্রহ এবং তাদের আসল বা ভার্চুয়াল কর্মক্ষেত্রের প্রস্তুতি তাদের সাফল্য লাভে সহায়তা করে। তাই নির্দিষ্ট দিনের আগের রাতে, একটি তালিকা তৈরি করতে হবে, কিছু নোট তৈরি এবং তথ্য পর্যালোচনা করা উত্তম।

মাল্টিটাস্কিং থেকে বিরত থাকা : বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ মাল্টিটাস্কিংয়ে আসলেই ভাল নয়। (কিছু গবেষণা এমনকি আরও বলে যে, মাল্টিটাস্কিং আসলে মানুষকে বোকা করে তোলে) কোনও কঠিন কাজের সময় মাল্টিটাস্কিং বা একই সাথে বহু কাজ করার চেষ্টা নির্দিষ্ট লক্ষ্যের জন্য উপলব্ধ কাজের স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়। এছাড়াও কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিটির (মানসিকভাবে) অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করার অনুভ‚তি হবে পারে।

সুনির্দিষ্ট মনসংযোগ : সুতরাং শুধুমাত্র একটি লক্ষ্যের উপরই মনোঃসংযোগ করতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক ইমেইল, নোটিফিকেশন বন্ধ রাখতে হবে। কাজের সময় অযথা ফোনের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। নির্বিঘেœ কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিত করার যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।

আপনার জন্য কাজের জন্য সহায়ক একটি অভ্যাস বা প্রক্রিয়ার বিকাশ করুন এবং তা নিয়মিত অনুসরণ করুন। লক্ষ্য অর্জনে সাফল্যের মূল হ’ল একটি রুটিন, একটি প্রক্রিয়া বা এমন একটি কর্ম কাঠামো খুঁজে পাওয়া, যা ব্যক্তিকে নিজের মতো করে উৎপাদনশীল করে তোলে। সুতরাং কেবল ফলাফলগুলো বিশ্লেষণ করলে হবে না; একটু পেছনে যেতে হবে এবং ফলাফল অর্জন করতে যে প্রক্রিয়াটি ব্যবহার করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করতে হবে। এভাবে, এমন একটি প্রক্রিয়ার বিকাশ ও সংশোধন ঘটবে, যার অনুসরণ মানুষকে কর্ম ক্ষেত্রে সাফল্য এনে দেবে। সূত্র : ইন্ক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়