দেবদুলাল মুন্না: [২] গতকাল এ কথা বলেন তিনি। `মুজিববর্ষ ২০২০' উদ্যাপন উপলক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ কর্তৃক আয়োজিত “ডিজিটাল বিপ্লবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগ ও নিরাপদ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল স্বাক্ষরের গুরুত্ব” শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। এন এম জিয়াউল আলম তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব ।
[৩] এন এম জিয়াউল আলম আরও বলেন, জাতির পিতা বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন এর হাতিয়ার হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থার (আইটিইউ) এর সদস্য পদ লাভ করে বাংলাদেশ।
[৪] তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু টেলি টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত প্রযুক্তির বিকাশে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি সূচনা করে গেছেন। কারণ বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন প্রযুক্তি ছাড়া সোনার বাংলা বিনির্মাণে সম্ভব নয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ তথ্য প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আইসিটি বিভাগের ইনফো সরকার প্রকল্প এর মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যন্ত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি পৌঁছে গেছে।বর্তমানে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ডিজিটালি কোন তফাৎ নেই।গ্রামের মানুষ শহরের সকল সুবিধা ভোগ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
[৪] কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ এর প্রধান নিয়ন্ত্রক মোঃ আবু সাঈদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম। পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।