রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতের প্রধানবিচারপতি শরদ এ বোবদে বলেছেন সুপ্রিম কোর্ট সর্বদা নারীত্বকে সম্মান করে। গত সপ্তাহে একটি ধর্ষণের মামলায় প্রধান বিচারপতির মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অনেকেই বলেন, তার মন্তব্য মেয়েদের পক্ষে অসম্মানজনক। কিন্তু প্রধানবিচারপতি বলেন, তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে। আমরা ধর্ষককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনি কি বিবাহ করবেন? দি ওয়াল/টাইমস অব ইন্ডিয়া/এনডিটিভি
[৩] গত ১ মার্চ ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মোহিত সুভাষ চবন নামে এক ব্যক্তির জামিনের আবেদনের ওপরে শুনানি হয়। মোহিত মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেকট্রিক প্রোডাকশন কোম্পানিতে চাকরি করেন। অভিযোগ, তিনি এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন প্রতিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তের কৌঁসুলি শীর্ষ আদালতে বলেন, এই মামলার জেরে তার মক্কেলের চাকরি যেতে পারে।
[৪] অভিযুক্তের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, মেয়েটিকে লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করার আগে আপনার ভাবা উচিত ছিল যে, আপনি একজন সরকারি কর্মী। আপনি যদি বিবাহ করতে চান, আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারি। কিন্তু যদি বিবাহ না করেন, আপনার চাকরি যাবে। আপনি জেলে যাবেন। পরে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা আপনাকে জোর করছি না। পরে হয়তো আপনি বলবেন, সুপ্রিম কোর্ট আপনার ওপরে চাপ দিয়েছিল।
[৫] অভিযুক্ত বলেন, আগে তিনি অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে রাজি হয়নি। এখন তার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তার পক্ষে আর মেয়েটিকে বিয়ে করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমি একজন সরকারি কর্মচারী। যদি আমাকে গ্রেফতার করা হয়, সঙ্গে সঙ্গে আমি সাসপেন্ড হয়ে যাব। প্রধান বিচারপতি বলেন, সেজন্যই আমরা আপনাকে সাহায্য করছি। আমরা গ্রেফতারির ওপরে চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিতে পারি। তারপরে আপনি স্থায়ী জামিনের জন্য আবেদন করতে পারেন।
[৬] প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্যের পরে অনেকে অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্ট বলতে চেয়েছে, ধর্ষিতাকে বিয়ে করলেই ধর্ষণকারীর অপরাধ মাপ করা হবে। কয়েকজন বুদ্ধিজীবী, লেখক এবং শিল্পী দাবি করেন, প্রধান বিচারপতিকে ক্ষমা চাইতে হবে।
[৭] এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, এবিষয়ে সম্পূর্ণ ভুল রিপোর্টিং করা হয়েছে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, আদালত ভিন্ন প্রেক্ষিতে ওই প্রশ্ন করেছিল।