শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ০৮ মার্চ, ২০২১, ০৮:১৯ সকাল
আপডেট : ০৮ মার্চ, ২০২১, ০৮:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] রাজশাহীতে ২৮২ মেট্রিকটন পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন সম্ভব

মঈন উদ্দীন: [২] পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার রাজশাহীতে দ্বিগুন পরিমাণে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছেন চাষিরা।

[৩] জেলার ৯ টি উপজেলার মধ্যে দুর্গাপুর, পুঠিয়া, পবা, মোহনপুর, বাঘা ও চারঘাটে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ ও পেঁয়াজ বীজের উৎপাদন হয়।

[৪] জেলা্র কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র মতে, ২০২০ সালে রাজশাহীতে মোট ২৫৬ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের চাষ হয়েছিলো। কিন্তু এ বছর ৪৩৪ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছে। এবার ২৮২ মেট্রিকটন বীজ উৎপাদন সম্ভব বলে ধারণা করা হচ্ছে যার বাজার মূল্য ৮৫ কোটি টাকা। গত বছর উৎপাদন হয়েছিলো ১৬৬ মেট্রিকটন।

[৫] চলতি বছর ১৮ হাজার ২৮৩ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এরমধ্যে ১২ হাজার ৭৭ হেক্টর জমিতে চারা পেঁয়াজ লাগানো হয়েছে- যা ২০ দিন পর থেকে উঠতে শুরু করবে। মুড়ি পেঁয়াজ লাগানো হয়েছিলো ৬ হাজার ২০৬ হেক্টর জমিতে কৃষক এই পেঁয়াজ গত দুই মাস থেকে জমি থেকে তুলে বিক্রি করছে। তবে এবার বেশি দামে বীজের পেঁয়াজ কিনে কৃষককে উৎপাদন করতে হয়েছে।

[৬] কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পেঁয়াজের বীজ কিনতে হয়েছে প্রতিকেজি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায়। আর পেঁয়াজ-চারা কৃষক বিক্রি করেছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা মণ দরে। সেই চারা পেঁয়াজ এখন জমিতে রয়েছে। অন্যদিকে খেতে পেঁয়াজবীজ বড় বড় থোকায় পাকতে শুরু করেছে। রাজশাহীর কৃষকদের আশা, এবার পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন হবে।

[৭] দুর্গাপুর উপজেলার কৃষক ইছাব্বর আলী জানান, গত বারের চেয়ে এবার অনেক বেশি পেঁয়াজ ও পেঁয়াজ বীজের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। এবার প্রতি বিঘা জমিতে ৯০ থেকে ১২০ কেজি করে পেঁয়াজ বীজ পাওয়া যাবে। বীজের এই কদম করার আগে বিছন (বীজ) পেঁয়াজ দুই হাজার টাকা মণে কিনতে হয়েছে। উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে দাম কমে গেলে লসের মুখে পড়বো।

[৮] পুঠিয়া এলাকার কৃষক মশিউর জানান, এবার বীজ পেঁয়াজ ১৮শ থেকে দুই হাজার টাকায় নিয়ে লাগিয়েছি। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবিঘা জমিতে ৮০ থেকে ১২০ কেজি কদম (বীজ) পেঁয়াজের বীজ পাওয়া যাবে। বীজ উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করছি। তবে দাম কম হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো।

[৯] কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) উম্মে ছালমা জানান, গত বছরের চেয়ে এবার দ্বিগুন পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন হয়েছে। সরকার উপজেলাগুলোতে কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছে। আমাদের দায়িত্বরত কর্মকর্তাগণ মাঠে থেকে কৃষককে মনিটরিং করেছে। এখন পর্যন্ত কোনোপ্রকার জীবাণু আক্রমণ করতে দেখা যায়নি। ফলনও ভাল হবে বলে জানান তিনি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়