[১] খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়াতে আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ
আনিস তপন: [২] সোমবার (৮ মার্চ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (বেলা ১.১৬মি.) বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ এখনও আমি দেখিনি। যদি আইন মন্ত্রণালয় থেকে ফাইলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে থাকে, তবে তা দেখে সিদ্ধান্তের জন্য পরবর্তী উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
[৩] এর আগে দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো আইন মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ পূর্বের শর্তে আরও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে মতামত দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়েছে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ সম্পর্কিত নথিতে অনুমোদন দিয়েছেন এবং উক্ত নথি কিছুক্ষণ আগে (১২.৪২মি.) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
[৪] আইন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে আগের শর্তেই দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। তাকে নিজ বাসায় অবস্থান করতে হবে এবং বাসাতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
[৫] গত বছরের মার্চ মাসে তার পরিবার থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছিল যেন চিকিৎসার জন্য তাকে নির্বাহী আদেশে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারায় তার (খালেদা জিয়া) দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত বছরের ২৫শে মার্চ সেই আদেশে তিনি (খালেদা জিয়া) মুক্তি পান।
[৬] এরপর থেকে তিনি গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন। দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদ- হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার।