মোস্তাফিজুর রহমান: [২] রোববার(৭ মার্চ) বিকেল পাঁচটায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত সুমাইয়া আক্তারের(২০) স্বামী ওমর ফারুক সন্ধ্যা পৌনে ৭ টায় তাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
[৩] নিহতের স্বামী জানান,৬ মাস হলো সম্পর্কের মাধ্যমে আমাদের বিবাহ হয়েছে। সুমাইয়া খুব জেদী স্বভাবের ছিল। একমাস হলো সে আমাকে জানায় সে অন্তঃসত্ত্বা। দুপুরে আমার কাছে কাবিন নামার কাগজ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
[৪] পরে আমি দুপুরে খাবার খেয়ে টিভি দেখছিলাম।কিন্তু বিকেলে সুমাইয়ার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে। পরে ডাকা-ডাকি করলেও দরজা খোলে না।তারপর ভেন্টিলেটর দিয়ে দেখি ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে।পরে দরজা ভেঙে তাকে নামিয়ে মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
[৫] ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান,ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। মৃত সুমাইয়া মুন্সিগঞ্জ সদর থানার চম্পাতলার শফিজল শেখের মেয়ে।২ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল মেজো। বর্তমানে ডেমরা সারুলিয়া পূর্ববক্সনগর এলাকায় স্বামীর সাথে থাকতেন।