শেরপুর প্রতিনিধি: [২] তদন্ত কেন্দ্রে এসে আত্মসমর্পণ করায় গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত স্বামী ও স্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে শেরপুর নকলা চন্দ্রকোণা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।
[৩] রোববার সকালে তারা তদন্ত কেন্দ্রে এসে আত্মসমর্পণ করেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর কারণে পুলিশ এই দম্পতিকে তদন্ত কেন্দ্রের বৈঠক খানা বকুলতলার সামনে শুভেচ্ছা জানায়।
[৪] আত্মসমর্পণ করা ওই স্বামীর নাম লালমন মিয়া (৪৫)। আর স্ত্রীর নাম লুৎফন বেগম (৪০)। তাদের বাড়ি নকলা উপজেলার বাছর আগলা গ্রামে।
[৫] জানা গেছে, ২০২০ সালের মাঝামাঝি এক প্রতিবেশী ওই দম্পতির বিরুদ্ধে মারামারি ও ভাঙচুরের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করে। আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। দীর্ঘদিন তারা পালিয়ে থাকার কারণে পুলিশ খোঁজে পাচ্ছিল না।
[৬] ওই তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা কয়েক দিন আগে বিট পুলিশিংয়ের সহয়তায় মোবাইলে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চয়তা দেয়, তাদের কোনোরকম অসম্মান করা হবে না। লাগানো হবে না হাতকড়া। কেউ জানতেও পারবে না। এই শর্তে ওই দম্পতি তদন্ত কেন্দ্রে আত্মসমর্পণ করে।
[৭] পুলিশ খুশি হয়ে অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছায় গ্রহণ করে। পরে হাতকড়া পরানো ছাড়া সম্মানের সাথে দুপুরের আগেই আদালতে পৌঁছে দেয়।
[৮] তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মামলাটি এলাকায় মীমাংসা হয়েছে। তবে আইনি জটিলতার কারণে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি আছে। আইনের প্রতি সম্মান জানানোর কারণে পুলিশও তাদের সম্মান করেছে। এতে করে সাধারণ মানুষ আইনের প্রতি আরো শ্রদ্ধাশীল হবে বলে ওই কর্মকর্তার ধারণা।