ইসমাঈল ইমু: [২] আলোচিত রিজেন্ট সাহেদ করিম বন্দি রয়েছেন কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সাধারণ সেলে আর ডা. সাবরিনা চৌধুরী বন্দি রয়েছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে। কারাগারের রজনীগন্ধা সেলে ডিভিশন সুবিধা নিয়ে তিনি হাজতি জীবন পার করছেন।
[৩] কারাসূত্র জানায়, বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই দুই প্রতারকের এখন তিন বেলা খাবারের মেনু গুড়, হালুয়া, রুটি, ভাত, ডাল, মাছ, মাংস ও খিচুড়ি। তবে এদের মধ্যে ডা. সাবরিনা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ইচ্ছা করলেই ক্যান্টিনের খাবার গ্রহণ করতে পারছেন। আর কারাগারের নির্ধারিত মেনুর খাবার খেয়ে সাহেদ করিমের শরীরের মুটিয়ে যাওয়া ভাব অনেকটা কমে গেছে।
[৪] বহুমুখী প্রতারক মাফিয়া সাহেদ করিমের করোনাকালীন রিজেন্ট হাসপাতালের অভিনব প্রতারণার ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর গত ৭ জুলাই অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রামমাণ আদালত। এরপর সাহেদ পলাতক হয়ে যায়। অবশেষে ১৫ জুলাই র্যাব সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে।
[৫] গত ২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় সাহেদের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোর, সিলেট ও সাতক্ষীরায় একাধিক মামলা বিচারাধীন। এসব মামলায় হাজিরা দিতে তাকে প্রায়ই ঐসব আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে কয়েদির পোশাক পরতে হয়েছে।
[৬] কারা সূত্র জানায়, সাধারণ সেলের একটি কক্ষে সাহেদকে একাই রাখা হয়েছে। যেন অন্য কোনো বন্দির সঙ্গে দেখা বা আলাপ-আলোচনা না করতে পারে, সেজন্য কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। অন্য সাধারণ কয়েদির মতো তার জন্য সকালের নাস্তা গুড়, হালুয়া ও রুটি দেওয়া হয়। স্বাভাবিক নিয়মে দুপুরে মাছ ও রাতে মাংস বরাদ্দ করা হয়।
[৭] জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ও কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন ওরফে ডা. সাবরিনা চৌধুরী ২৭তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার হওয়ায় তিনি কাশিমপুর মহিলা কারাগারে ডিভিশন সুবিধা পেয়েছেন। কারাগারের রজনীগন্ধা ডিভিশন সেলের মধ্যে তাকে একাই একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশনের সকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। তার কক্ষে একটি ফ্যান রয়েছে। প্রতিদিন একটি দৈনিক পত্রিকা বরাদ্দ।