হাবিবুর রহমান: [২] নেত্রকোনার পূর্বধলায় শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ। প্রতিনিয়তই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। ঝরছে তরতাজা প্রাণ, কাঁদছে মানুষ। পূর্বধলায় সড়ক দুর্ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যু এলাকাবাসীর কপালে নিত্য লিখন হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা খন্ডন করার উপায় কারও জানা নেই। চলতি সাপ্তাহে রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত ট্রাকের চাপায় শিশুসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
[৩] গত রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের হামিদপুর নামক স্থানে ট্রাক ও অটোরিকশার সংঘর্ষে সুলতান আহমেদ (৩৫) নামে এক অটোরিকশার চালক নিহত হয়েছেন
[৪] মঙ্গলবার (২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কে আতকাপাড়া নামক স্থানে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে তানিয়া আক্তার (৯) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে।
[৫] বুধবার (৩ মার্চ) রাত সারে ৯ টার শ্যামগঞ্জ জালশুকা কুমুদগঞ্জ টারনিং পয়েন্টে দ্রুতগামী একটি ট্রাকের ধাক্কায় হাবুল ফকির ৫৫ নামে একজন মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে।
[৬] একটি জীবনের দুর্ঘটনা পুরো পরিবারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। ট্রাফিক আইন উপেক্ষা করে অনিরাপদ সড়ক ব্যবস্থায় বেপরোয়াভাবে ট্রাক চলাচল সড়ক দুর্ঘটনা অন্যতম কারণ বলে মনেকরছেন সংশ্লিষ্টরা।
[৭] পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চলাচলে ক্রমেই বাড়ছে দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
[৮] এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার উম্মে কুলসুম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মিটিংয়ে তাকায় বক্তব্য দেন নি। সম্পাদনা: সাদেক আলী