রাঙামাটি প্রতিনিধি: [২] পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে রাঙামাটিস্থ প্রধান কার্যালয়ে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
[৩] বুধবার বেলা দুপুর ১২ টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সরকারের অতিরিক্ত সচিব জনাব মো.নূরুল আলম নিজামী’র উপস্থিতিতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
[৪] গণশুনানিতে জেলার সেবা প্রত্যাশীসহ প্রত্যন্ত এলাকা হতে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। এসময় বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মো. নূরুল আলম নিজামী কর্তৃক একে একে উপস্থিত সেবা প্রত্যাশীদের বক্তব্য নেয়া হয়।
[৫] এসময় ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড একটি উন্নয়নধর্মী প্রতিষ্ঠান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূর প্রসারী চিন্তা প্রসূত প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত সুনামের সহিত দীর্ঘ চার দশকের বেশী সময় ধরে সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সাথে সমন্বয় করে তিন পার্বত্য জেলায় রাস্তা, কালভার্ট, ব্রীজ নির্মাণ করেছে। এর মূল কারণ পার্বত্য এলাকার জনমানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন মেয়াদী প্রকল্প গ্রহণসহ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
[৬] তিনি আরো বলেন, সরকারের গৃহীত নীতি ও নির্দেশনায় আগামীতে পার্বত্যাঞ্চলে যেখানে উন্নয়ন হয়নি সেখানে সুষম ভিত্তিতে আরো উন্নয়ন করা হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড তিন পার্বত্য জেলায় আগামী ৫-১০ বছরে যেখানে জাতীয় গ্রীড হতে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছানো সম্ভব নয় সেখানে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে শুরু করে পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে ৪০ হাজার পরিবারসহ ২৫০০ কমিউনিটি সেন্টারকে বিনামূল্যে সৌর বিদ্যুৎ দেয়া হবে।
[৭] গণশুনানীতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড অত্র এলাকা উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও দায়িত্বের সাথে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। এ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। এছাড়া বোর্ডের প্রতিটি কাজের গুণগত মান দৃশ্যমান হওয়ায় জনগণের কাছে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়নের ধারা যেন আগামীতেও বজায় থাকে এ প্রত্যাশা করেন।