শিরোনাম
◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি ◈ বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স: কীভাবে পাবেন, কী কী শর্ত মানতে হবে? ◈ এবার থাইল্যান্ড থেকে ভারতগামী বিমানে ১৬ টি সাপ, এরপর যা ঘটল

প্রকাশিত : ০৩ মার্চ, ২০২১, ১১:২২ দুপুর
আপডেট : ০৩ মার্চ, ২০২১, ১১:২২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লীনা পারভীন: ‘জান ও জবান’ কোন এলাকার প্রচলিত ভাষা?

লীনা পারভীন: আসুন রাজনীতি শিখি। যারা বলছেন ভাষার আবার রাজনীতি কী? তারা দয়া করে আমাদের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসটা আবার পড়েন, জানেন, বুঝেন। সালাম, জব্বার, রফিকের মতো বেকুবদের একটু গালি দিই আসেন। বেকুবগুলো কেন সামান্য বাংলা বর্ণমালায় নিজের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার আন্দোলনে গিয়ে হুদাই গুলি খেয়ে মরলো, এর জন্য তাদের আবারও গালি দিয়ে আসেন।

এবার আসেন, আপনারা যারা বলছেন ভাষা নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না তারা কেন বলছেন? কেন তারা টেনে আবার হিন্দি বা উর্দুকে প্রচলিত আলাপে আনতে চাইছেন? বাংলা ভাষার অভিধানে কোথায় সংকট পড়লো যে আন্দোলনের ভাষা হতে হবে ভিনদেশি ভাষা যেখানে হিন্দি, আরবি বা উর্দু মিলিত থাকবে? এবারের একুশে ফেব্রুয়ারিতেই প্রথম চোখে পড়লো কিছু তর্ক। কী সেই তর্ক? তারা বলছেন, ফেব্রুয়ারি একটি ইংরেজি শব্দ, শহিদ একটি বিদেশি শব্দ। তাহলে যে ভাষার জন্য জীবন দেওয়া সেই বাংলার অবস্থান কোথায়? আমাকে তখন বুঝতে হয় যে আপনি কোন প্রেমের জায়গা থেকে এই তর্ককে সামনে আনতে চাইছেন? আপনি ফেব্রুয়ারি লিখতে চান না ভালো কথা। ফাল্গুন লিখেন। সমস্যা নাইতো। চেয়ার লিখতে চান না তাহলে কেদারা লিখেন। কিন্তু একুশে ফেব্রুয়ারির অর্জন নিয়ে প্রশ্ন  তোলার পেছনে আমাকে বলতেই হয় যে ‘তুমি কেন ঘষো তাহা আমি বুঝি’। আপনি ইংরেজি বারো মাসের বদলে বাংলা মাস ব্যবহার করতে চান? করতেই পারেন। কিন্তু নিশ্চয়ই আপনি কেন ইংরেজি মাসের নাম থাকবে সেই যুক্তিতে উর্দু বা আরবি ভাষায় বলতে শুরু করতে পারেন না? সঠিক বাংলার প্রচলন শুরু হোক সেটাই আমাদের সবার চাওয়া। তাহলে আপনি কোনটা চান সেটাও পরিষ্কার না করলেতো আমি ভুল বুঝতেই পারি, তাই না?

এবার আসি আন্দোলনের ভাষা নিয়ে। আপনি যখন ‘মনুষ্যত্ব’ না বলে ‘ইনসানিয়াত’ বলেন ন্যায়বিচার না বলে ‘ইনসাফ’ বলা শুরু করেন ‘বাক’না বলে হিন্দি ‘জুবান’বা প্রচলিত ‘জবান’ বলেন তখন আপনার মধ্যে লুকিয়ে থাকা রাজনীতিটি পরিষ্কার হয়ে যায় ভাইয়া। বাংলার মানুষের বাকস্বাধীনতার জন্য লড়াই করবেন অথচ সাধারণের মুখের ভাষা বাংলাকে অস্বীকার করে তাহলে কেমন করে চলে বলেন দেখি? অনেকেই দেখছি-জান ও জবানকে প্রচলিত ভাষা হিসেবে চালাতে চাইছেন। কেন? জান ও জবান কোন এলাকার প্রচলিত ভাষা? এগুলোর ব্যবহার কোথায় কেমন করে হচ্ছে? এর কি কোনো বিকল্প শব্দ নেই, যা দিয়ে মানুষের কাছে আপনাদের বক্তব্য পৌঁছে দিতে পারেন? আফসোস, আপনাদের এসব কিছু ছোট অথচ বড় রাজনৈতিক এজেন্ডাসম্পন্ন আন্দোলন কৌশলগত ভুলের কারণে কামিয়াব হচ্ছে না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়