আশিকুর রহমান অপু: ১) অক্সফোর্ডের আবিষ্কার করা ভ্যাকসিনটি অ্যাডিনো ভাইরাসের বডিতে করোনা ভাইরাসের স্পাইক (বাহু) এর সংকর। যা বংশ বৃদ্ধি করতে পারবে না। ফলে এই ভ্যাকসিনে যে অল্প পরিমান করোনার জীবানুর স্পাইক শরীরে গেল তাতে করোনা আক্রান্ত হবেন না কেউই।
২) ভ্যাকসিন শরীরে গেলে সেটার বিরুদ্ধে ফাইট করবে শরীর। এই ফাইটের শুরুর সময়টা ( প্রায় সপ্তাহ খানেক পর্যন্তও হতে পারে) শরীরে কিছুটা জ্বর বা অন্য সমস্যা দেখা দিতেও পারে।
৩) আবার ভ্যাকসিন এর বিরুদ্ধে শরীর ফাইট করে অভিজ্ঞ হবার আগেই অন্য কোনোভাবে শরীরে করোনা জীবানু ঢুকলে আপনি করোনা আক্রান্ত হতে পারেন।
৪) অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন দুইডোজ। মানে শরীর ফাইট করে মোটামুটি ভাল রকম অভিজ্ঞ হতে, দ্বিতীয় ডোজ শরীরে যাবার পরেও কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময় লাগার কথা। এর মধ্যেও অন্য কোনোভাবে আপনি করোনা আক্রান্ত হতে পারেন।
এক কথায়,
* ভ্যাকসিন এর কারণে করোনা হবে না।
* ভ্যাকসিন দুই ডোজ নেবার পর এক সপ্তাহ গেলে বলা যাবে আপনার ভ্যাকসিনেশন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে পর্যন্ত আপনার করোনার ঝুঁকি থাকবে।
* ভ্যাকসিনেশন হবার পর ৬০-৭০% লোক করোনা থেকে নিশ্চিত বাঁচবেন। বাকি ৩০-৪০% লোক আক্রান্ত হলেও মাইল্ড লক্ষণ থাকবে।