আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] এই টোটকার নাম করোনিল। এটি যেই অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত করা হয়, তাতে উপস্থিত ছিলো ভারতের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীও। তবে এটি কাজ করে এমন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। এটি ব্যবহারের অনুমোদন নিয়ে ধোঁয়াশাপূর্ণ কথা বলছে কোম্পানিটি। বিবিসি
[৩] ওষুধটি কবিরাজিতে ব্যবহার হয় এমন জটিবুটি দিয়ে তৈরি। এটি তৈরি করছে ভারতের অন্যতম কনজুমার কোম্পানি পতঞ্জলি। এর মালিক বাবা রামদেব কোনও প্রমাণ ছাড়াই শুরু থেকে বলছেন, তার ওষুধ করোনা সারায়। তিনি গোমুত্র দিয়ে বিভিন্ন পণ্য বানানোর জন্য বিখ্যাত। জুন মাসে এই দাবির পর তার প্রচার বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। তারা তখন জানিয়েছিলো, এটি দিয়ে করোনা ভালো হয় এমন কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। দ্য হিন্দু
[৪] তবে সরকার একে ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। যারও কোনও প্রমান নেই। এটি যখন বাজারে উন্মুক্ত করা হয়, সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্স বর্ধন। একজন চিকিৎসক হয়েও তিনি একটি অপ্রামানিত ওষুধের হয়ে প্রচারণায় অংশ নেন। তিনি ১৯ ফেব্রুয়ারি বলেন, বাবা রামদেবের এই ওষুধে করোনা সারে। অবশ্য তিনিও কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি।