লিহান লিমা: [২] মৃত্যু, অর্থনৈতিক সংকোচন ও মহামারী বছরেও টেসলার মালিক ইলন মাস্ক ও অ্যামাজনের জেফ বেজোসের মতো ধনীদের সম্পদ ইর্ষন্বীয় হারে বেড়েছে। নৃবিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে কিভাবে এই ক্রমবর্ধমান সম্পদ কার্বন নিঃসরণ বাড়াচ্ছে। ফার্স্টকোম্পানি
[৩]গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিলিওনারদের জীবনযাত্রার ফলে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসৃত হয় তা সাধারণ আমেরিকানদের গড় নিঃসৃত কার্বনের চাইতে হাজার গুণ বেশি।
[৪]এই ধনীরা কয়েকটি ইয়ট, প্লেন এবং বাড়ির মালিক, যেগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস বায়ুমণ্ডলে নিঃসৃত হয়। সাধারণত স্থায়ী ক্রুসহ একটি সুপার ইয়ট, হেলিকাপ্টার প্যাড, সাবমেরিন এবং পুল থেকে বছরে ৭ হাজার ২০ জন কার্বন নিঃসৃত হয়।
[৫] গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ২০১৮ সালে বিলিওনাররাসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিক গড়ে ১৫টন সিও২ নিঃসরণ করেছেন। যার বৈশ্বিক গড় ৫ টন। অন্যদিকে একই বছর যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ২০ ধনী গড়ে ৮ হাজার ১৯০টন কার্বন নিঃসরণ করেছেন।
[৬]এই ২০ ধনীর তালিকায় কার্বন নিঃসরণের ক্ষেত্রে শীর্ষ রয়েছেন রোমান আব্রামোভিচ ( নিট সম্পদ ১৪ বিলিয়ন ডলার)। তিনি নিঃসরণ করেছেন ৩৩ হাজার ৮৫৯ মেট্রিক টন কার্বন, এর দুই-তৃতীয়াংশের বেশি নিঃসৃত হয়েছে তার বিলাসবহুল ইয়ট থেকে।
[৭]তালিকার দশম স্থানে থাকা বিল গেটস (নিট সম্পদ ১২৪ বিলিয়ন ডলার) নিঃসরণ করেছেন ৭ হাজার ৪৯৩ মেট্রিক টন কার্বন। তার ইয়ট না থাকলেও এই নিঃসরণের জন্য দায়ী তার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত বিমান।
[৮] তালিকার ১৯তম অবস্থানে থাকা ইলন মাস্ক (১৭৭ বিলিয়ন ডলার) নিঃসরণ করেছেন ২ হাজার ৮৪টন কার্বন। তবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধনী হওয়া সত্ত্বেও তার কার্বন নিঃসরণের হার অনেক কম। মাস্ক ইতোমধ্যেই তার ৮টি বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন এবং তার এই ধরণের সম্পদগুলো পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার কোনো সুপারইয়ট নেই এবং তিনি কোনো ছুটি কাটান না।
[৯]ফোর্বসের শীর্ষ ধনীর তালিকা থেকে এই ২০জন জনপ্রিয় ধনীর বাসভবন, গাড়ি, বিমান এবং ইয়টের ওপর সমীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার সময় মার্কিন জ্বালানি অধিদপ্তরের প্রতিটি বাড়ি, বিমান, গাড়ি এবং ইয়ট থেকে বছরে নিঃসৃত কার্বনের তথ্য নেয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে টেসলা বা অ্যামাজনের মতো কোম্পানিগুলো থেকে নিঃসৃত কার্বন ধরা হয় নি, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ব্যবহার করা হয় এমন বিষয়গুলোকে আওতায় আনা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :