শাহ্ আলী ফরহাদ: আমাদের ছেলে ও পুরুষ যুবকদের একটি বিশাল সংখ্যা পরিচয়, আস্থা ও উদ্দেশ্য সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। সারা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি ছেলেদের সঙ্গে কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে এটাই ধারণা পাচ্ছি। তাদের জীবনে একটি দিকনির্দেশনার অভাব রয়েছে। জীবনের সকল পদযাত্রা থেকে পুরুষ যুবকদের মধ্যে এটি প্রচলিত বলে মনে হচ্ছে, তাদের শিক্ষা ও সামাজিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট নির্বিশেষে ।
তারা খুব বিরোধপূর্ণ বার্তা পাচ্ছে। তারা কারা? তাদের উদ্দেশ্য কি? তাদের জীবনের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত? সাফল্যকে কী সংজ্ঞায়িত করে? সুখ কাকে বলে? তাদের অভিযোগ কোথায় মিথ্যা বলে? তারা কীভাবে জীবনে একজন উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে পায়? কীভাবে টাকার মতো ব্যবহারিক বিবেচনায় তাদের লক্ষ্যকে জীবনে মিলিত করা যায়? সোশ্যাল মিডিয়া, মানুষকে একত্রিত করার চেয়ে, মনে হয় এই তরুণদের আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে। এফবি বা আইজি তে মানুষের কৃত্রিম কিউরেটেড জীবন অনেককে কম, অসম্পূর্ণ, যথেষ্ট ভালো না। এগুলো আমার গবেষণা অনুসন্ধান নয় এবং আমি কেবল আমার উপলব্ধি এবং পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে রিপোর্ট করছি। আমার মনে হয় আমরা এমন একটি প্রজন্ম তৈরি করছি যারা প্রাথমিকভাবে তাদের কোন দোষের কারণে সবকিছু সম্পর্কে নিন্দুক। এটা কী শাসন ব্যবস্থা? রাজনীতি? ধর্ম? নাকি তাদের চারপাশে দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবী? তাদের ব্যর্থতা কী? অথবা এটা কী সব কিছুর সমন্বয় নাকি কারও নয়?
সম্প্রতি যৌবনে আমরা যারা ছিলাম তারা ভালো জানে জীবনের নির্দিষ্ট ধাপ কতোটা বিভ্রান্তিকর । সকল চাপ, চাপ, এবং প্রত্যাশা, এবং কোনো ভালো ভ‚মিকা মডেল, কোন দিকনির্দেশনা ব্যবস্থা, কোন মহান দেশপ্রেমিক সংগ্রাম, কোনো উদ্দেশ্য নেই। আমরা দ্রুত তাদের দিকে আঙুল তুলি, কিন্তু তাদের চিন্তার প্রক্রিয়ার গভীরে প্রবেশ করি না। আমি শুধু চিৎকার করে ভাবছি। আমি শুধু আমার চিন্তাধারা শেয়ার করছি। আমি জানতে চাই তাদের জন্য আমরা কী করতে পারি। এই রূপান্তরটিকে একটু সহজ করার জন্য। অন্ততপক্ষে তাদের জানাতে আমরা তাদের পাশে আছি, তাদের জীবনের সব সমস্যার সমাধান না করতে পারলেও। তাদের একাকিত্বের অনুভ‚তিকে আরেকটু সহনীয় করে তোলার জন্য। আমি উত্তর খুঁজছি। আমি জানি তোমরা অনেকেই আছো। ফেসবুক থেকে