ফরিদ আহমেদ:[২] জমির মালিকের খায়েশ মেটাতে পরিকল্পিতভাবে সড়কের গাছ হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বেতলার মোড় এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের অন্তত ২০টি গাছ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গাছগুলোর অপরাধ তারা সরকারি সড়কে জন্ম নিয়ে ছায়া দিয়ে পরিবেশ সুরক্ষায় ভূমিকা রেখে আসছিল।
[৩] গাছ ঘাতকের নাম পরিচয় না পাওয়া গেলেও পাওয়া গেছে একটি মোবাইল ফোন নাম্বার। ফোন নাম্বারটি পাওয়া হত্যাকৃত গাছগুলো যে জমিতে ছায়া দান করেছিল সেই জমিতে স্থাপন করা একটি সাইনবোর্ডে। প্যানা ব্যানার ও টিনের সাইনবোর্ডে পৃথকভাবে লেখা হয়েছে -এই জায়গা ভাড়া দেওয়া হইবে।
[৩] সেখানে বালু দ্বারা ভরাট করা হয়েছে। সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের ছয়ঘরিয়া এলকার বেতলার মোড়ের পূর্বপাশে এই গাছ হত্যার দৃশ্যটি সবার চোখে পড়ে। একটি নয়, দুটি নয়, হত্যা করা হয়েছে বড় বড় ২০টি গাছ। অথচ সড়ক বিভাগ এ ব্যাপারে কিছুই জানেনা। জানেনা বনবিভাগও।
[৪] স্থানীয়রা জানান, সড়কের দুই পাশের গাছগুলো জীবন্ত। সাইনবোর্ড স্থাপনকৃত ওই জমির সড়ক সীমানার উত্তর-দক্ষিণ পাশের গাছগুলোও জীবন্ত। শুধু মেরে ফেলা হয়েছে জমির সীমানা সংলগ্ন সড়ক বিভাগের ২০টি বড় গাছ। কোন দাহ্য পদার্থ ছাড়া এভাবে একসাথে ২০টি গাছ মরতে পারেনা বলে জানান স্থানীয়রা।
[৫] স্থানীয়দের মতে, গাছগুলো হত্যা করে সেখানে কোন স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন জমির মালিক। যে কারণে প্রায় দশ লক্ষ টাকা মূল্যের সরকারি গাছের জীবন দিতে হলো জমির মালিকের খায়েশ পূরণ করতে।এব্যাপারে জমির মালিক শেখ আফজাল হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন, জায়গাটি ছিল খানা-খন্দে ভরা। ওই জায়গায় সাতক্ষীরা পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হতো। পরে বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন