রাশিদুল ইসলাম : [২] ১২ বাই ১২ ইঞ্চির সৌর প্যানেলটি গত মে মাসে একটি এক্স-৩৭বি মনুষ্যবিহীন ড্রোনে করে পাঠানো হয় নিম্ন কক্ষপথে (২ হাজার কিমি)। ‘পিজা বক্স’ আকারের এ সৌর প্যানেলটি আই প্যাড বা একই ধরনের ডিভাইসের সাহায্যে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করে পাঠাবে পৃথিবীতে। ডেইলি মেইল
[৩] ভবিষ্যতে এ সৌর প্যানেলটি মাইক্রোওয়েভ ও রশ্মির সাহায্যে বিদ্যুৎ পাঠাবে।
[৪] মহাকাশ থেকে সূর্যের যে শক্তি পৃথিবী অবধি পৌঁছতে পারে না, তাই ধরে বিদ্যুৎ তৈরি করবে সৌর প্যানেল। পেন্টাগনের বিজ্ঞানীরা বলছেন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাটিয়ে মহাকাশে পৌঁছে যাবে সৌর প্যানেলটি। প্যানেল থেকে ড্রোনের সাহায্যে একটা লুপ তৈরি করা হবে। সে পথেই সৌরবিদ্যুৎ মহাকাশ থেকে আসবে পৃথিবীতে।
[৫] ড্রোনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফোটোভোলটাইক রেডিওফ্রিকুয়েন্সি অ্যান্টেনা মডিউল’ (চজঅগ)। প্রোটোটাইপ ড্রোন বানিয়ে ট্রায়ালও করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। প্যানেলে রয়েছে থার্মাল ভ্যাকিউম চেম্বার যা শক্তিকে ধরে রাখতে পারে।
[৬] ওয়াশিংটনে মার্কিন নেভির গবেষণা ল্যাবে সৌরপ্যানেলের পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ চলছে। সূর্যের অতিবেগুনী প্রচণ্ড শক্তিশালী রশ্মির বেশ কিছুটা অংশ পৃথিবীতে ঢোকার আগেই বায়ুমণ্ডলে বাধা পেয়ে ভাসতে থাকে। সেই রশ্মি ধরাই হবে এই সৌরপ্যানেলের কাজ।
[৭] বিজ্ঞানী পল জ্যাফে বলছেন, ১২ বাই ১২ ইঞ্চির প্যানেল একেক বারে ১০ ওয়াট পর্যন্ত শক্তি স্থানান্তর করতে পারবে। ভবিষ্যতে বিপুল শক্তির চাহিদা এভাবেই যোগান দেবে এই সৌর প্যানেল।
[৮] গবেষক ক্রিস ডেপুমা বলছেন, পৃথিবীর কক্ষপথে বসানো হতে পারে এই সোলার প্যানেলকে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টায় একবার সূর্যের চারদিকে পাক খায় পৃথিবী। কাজেই একটা সময় সেই প্যানেল সূর্যের থেকে দূরে থাকবে। তাই চেষ্টা করা হবে হাই আর্থ অরবিটে এই প্যানেলকে বসিয়ে দেওয়ার।
আপনার মতামত লিখুন :