আজিজুল ইসলাম: [২] বাঘারপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ রুহোল আমিন জানান, এবছর ১ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে মসুর ডাল চাষ হয়েছে। মসুর চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ১ হাজার ৮৮৫ হেক্টর । কিন্তু মধ্যবর্তী মৌসুমের ফসল হওয়াতে, লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ থাকলেও, লক্ষ্যমাত্রার কম চাষ করা হলেও এবার উৎপাদন বেশী হবে বলে তিনি আশা করেন।
[৩] কৃষকরা বলছেন, বিঘায় ৩ হাজার টাকা খরচ করে, ৮ মণ মসুর ডাল উৎপাদন করা যায়। যা ২০-২২ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। স্বল্প সময়ে এবং অল্প খরচে লাভ বেশি পাওয়া যায় বলে এই উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে মসুর ডালের চাষ। মসুর এই উপজেলার অন্যতম রবিশস্য।
[৪] মূলত বারি ৬,৭ ও স্থানীয় জাতের মসুরের আবাদ এই উপজেলায় জনপ্রিয়। উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, খেতের মসুরি ফুলে-ফলে ভরে গেছে।অনেক জায়গায় মসুরি পাক ধরেছে।
উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সিলুমপুর গ্রামের কৃষক বাবলুর রহমান বলেন,১ বিঘা জমিতে এবার মসুরের চাষ করেছি। রোগ-বালাই নেই, আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এবার ভাল ফলন আশা করছি।
[৫] উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া এলাকার কৃষক প্রসান্ত বিশ্বাস জানান, গত মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে মসুরের চাষ করেছিলেন। মসুর পেয়েছিলেন প্রায় ৮ মণ। এবার তিনি ৪ বিঘা জমিতে মসুরের চাষ করেছেন। উপজেলার ইন্দ্রা এলাকার কৃষক আবুল বাশার বলেন, এবার বেশি ফলন পাবার আশা করছি ।
[৬] কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, বাঘারপাড়া উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া মসুর চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এ উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে মসুর ডালের আবাদ হয়। দাম ভাল থাকায় মসুর বিক্রি করে লাভবান হন চাষিরা। সম্পাদনা: সাদেক আলী