শিরোনাম
◈ সমমনাদের অসন্তোষ বাড়ছে, আসন বণ্টনে বিএনপি-র কঠিন সমীকরণ ◈ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থাকলেও বাড়ছে দারিদ্র্য—সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা ◈ ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ: ১২ গ্রুপে ৪৮ দল, একনজরে দেখুন কে কার প্রতিপক্ষ ◈ অবশেষে ‘শান্তি’ পুরস্কার পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ খালেদা জিয়ার এন্ডোস্কপি সম্পন্ন, বন্ধ হয়েছে পাকস্থলীর রক্তক্ষরণ ◈ নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির নিজস্ব ইচ্ছা: প্রেস সচিব ◈ লা‌তিন - বাংলা সুপার কা‌পে ব্রাজিলের কাছে পরা‌জিত বাংলাদেশ ◈ ব্রিটেনে অবৈধ ডেলিভারি ড্রাইভার অভিযানে ৬০ জনকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশিও রয়েছেন আটক তালিকায় ◈ শেখ হাসিনার দুঃশাসনে খালেদা জিয়ার ওপর নেমেছিল নিপীড়নের ঝড়: তারেক রহমান ◈ মনোনয়ন পেলেন বিএনপির ১১ নারী প্রার্থী, কে কোন আসনে?

প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৯:৪৫ সকাল
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৯:৪৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে ইবি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাখান

মুরতুজা হাসান: [২] শিক্ষামন্ত্রী আগামী ১৭ মে হল ও ২৪ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করে পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে আগামী ১ মার্চের পূর্বে হল-ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে স্থগিতকৃত সকল পরীক্ষা পুনরায় চালু করার দাবি জানান তারা।

[৩] মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর সংলগ্ন আম বাগানে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জিকে সাদিক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত দাবিগুলো পাঠ করেন। তিনি বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১৭ মে হল ও ২৪ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আমরা এই সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করার দাবি করে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করছি।

[৪] আমরা মনে করি এই সিদ্ধান্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিস্থিতি বিবেচনায় না নিয়েই গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ তিনি ভ্যাক্সিন দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা বলেছেন। আমরা বলতে চাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভ্যাক্সিনের আওতায় আনতে তিন মাস সময় কেন লাগবে সেটা বোধগম্য নয়। আমরা সেই প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে রাখতে চাই।

[৫] শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পর ইতোমধ্যে ইবিতে সব ধরণের পরিক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আমরা মনে করি এটি চরম হঠকারী সিদ্ধান্ত। কারণ ইতোমধ্যে অনেক বিভাগের পরীক্ষা চলছে, কিছু বিভাগে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে এসে মেস বা বাসা ভাড়া নিয়ে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অবস্থান করছে। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিপাকে ফেলা হয়েছে।

[৬] সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রশাসন ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এরপর দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম এর কাছে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের কার্যালয়ে দেখা করে তাদের দাবিগুলো উত্থাপন করেন।

[৭] সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম জানান, এটি একটি জাতীয় ইস্যু, আমি ব্যক্তিগতভাবে তোমাদের এ দাবির সাথে একমত। আমিও চাই শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা দিক এবং ক্লাস রুমে ফিরে আসুক। কিন্তু আমাকে সরকার এখানে নিয়োগ দিয়েছে, এজন্য সরকারের নির্দেশনার বাহিরে গিয়ে আমি একা কিছু করতে পারিনা। সম্পাদনা: সাদেক আলী

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়