রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতের মহারাষ্ট্র সহ পাঁচটি রাজ্যে কোভিড গ্রাফ এতটাই বেড়েছে যার প্রভাব পড়েছে মোট পরিসংখ্যানে। দৈনিক সংক্রমণ দশ হাজারের নীচে নেমেছিল, তা এখন লাগামছাড়া। চিন্তা বাড়িয়েছে ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। দি ওয়াল
[৩] মহারাষ্ট্র ও কেরালার পরিস্থিতি বিপজ্জনক। অ্যাকটিভ রোগী বেড়ে গেছে ৭৪%। ছত্তীসগড়, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরেরও একই হাল। চড়চড় করে বাড়ছে সংক্রমণ।পাঞ্জাবে কোভিড পজিটিভিটি রেটও বেশি। এক সপ্তাহে বেড়ে গেছে ১.৬%। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়েছে।
[৪] নভেম্বরের শেষ থেকে ক্রমশ করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা কমতে কমতে দেড় লাখের নীচে নেমে যায়। অ্যাকটিভ কেসের হারও ছিল দেড় শতাংশের কম। কিন্তু গত গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ শতাংশ। নতুন করে সংক্রামিত ৪ হাজার ৪২১ জন। ফলে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ফের দেড় লাখের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছে।
[৫] গত ২৪ নভেম্বর করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৩৮ হাজারের কাছাকাছি। তিনদিনের মধ্যে তা বেড়ে ৪ লাখ ৫৫ হাজারে পৌঁছায়। এরপর থেকে কোভিড কার্ভ কমতে শুরু করে। ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও কমে যায়। কিন্তু গত দুসপ্তাহে এই পরিস্থিতি বদলে গেছে।
[৬] স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, সংক্রমণের এই আচমকা বৃদ্ধির কারণ হল করোনার নতুন স্ট্রেইন। কোভিড টেস্ট ও কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ে ধরা পড়েছিল মহারাষ্ট্রের কয়েকটি জেলা যেমন, অমরাবতী, আকোলা, যবৎমলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার ওই নতুন স্ট্রেইন।
[৭] মহারাষ্ট্রের বেশিরভাগ জেলাতেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন। পাশাপাশি, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড় ও পাঞ্জাবেও নতুন স্ট্রেইনের হদিশ মিলেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নতুন স্ট্রেইনের সংক্রমণ রোখা না গেলে বহু জনের শরীরে রোগ ছড়িয়ে পড়বে।
[৮] বিশেষত, মহারাষ্ট্রের বেশিরভাগ জেলা ও শহরেই করোনাবিধি মানছেন না লোকজন। মুম্বাইয়ের লোকাল ট্রেনগুলিতে মাস্ক ছাড়াই সফর করে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগকেই। রাস্তাঘাটেও মাস্ক, সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মানছেন না অনেকেই। মানুষের শরীরে এই নতুন স্ট্রেইনের ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা অনেক বেশি।
[৯] নতুন স্ট্রেইনের জিনোম সিকুয়েন্স বা জিনের বিন্যাস বের করে দেখা গিয়েছে, এটি পুনঃসংক্রমণ বা রিইনফেকশনও ঘটাতে পারে। অর্থাৎ শরীরে একবার এই স্ট্রেইনের সংক্রমণ ছড়ানোর পরে বারে বারে তার ফিরে আসার শঙ্কা থেকে যায়।