কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নিজস্ব অর্থায়নের শর্তের কারণে বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করা সম্ভব হয়নি। এটি করতে হলে প্রতি বছর ৬০০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করতে হবে। তবে এটি বাস্তবিক অর্থে আরও বেশি হবে, কারণ এটি প্রাথমিক আলোচনার হিসেব ছিলো।
[৪] পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চাইছি, জাতিংঘের ছয়টি ভাষার পাশাপাশি বাংলাকেও দাফতরিক ভাষা হিসেবে চালু করা হোক।
[৫] জাতিসংঘে পাঁচটি দাপ্তারিক ভাষা রয়েছে। পরবর্তীতে আরবি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং আরবি ভাষাভাষী দেশগুলো এর খরচ বহন করেছে।
[৬] বাংলা ভাষায় প্রায় ২৭ কোটি লোক কথা বল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, আমাদের টাকা পয়সা হলে আমরাও তখন এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পারবো।
[৭] এখন জাতিসংঘ রেডিওতে প্রত্যেক সপ্তাহে ইংরেজির সঙ্গে বাংলায় অনুষ্ঠান সম্পচার হয়, এটি তারা কোনো টাকা ছাড়াই করছে। এটা আমাদের জন্য সুযোগ।
[৮] তিনি বলেন, জাতিসংঘের দাপ্তরিক হিসেবে জাপানি, হিন্দি ও জার্মান ভাষার প্রস্তাব করা হয়েছিল। অর্থায়নের কারণে সেগুলোও এগুয়নি।
[৯] ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আপনার মতামত লিখুন :