আসিফুজ্জামান পৃথিল: [৩] মিসরের প্রত্নবিষয়ক মন্ত্রণালয় গত বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সিকেনেনারে টাও মিসরের দক্ষিণাঞ্চলে রাজত্ব করতেন। গবেষকেরা দীর্ঘদিন ধরে সিকেনেনারে টাওয়ের মৃত্যুরহস্য জানার চেষ্টা করছিলেন। তার মমি ১৯ শতকের শেষ দিকে পাওয়া যায়। মুখে বিশেষ আঘাতের চিহ্ন ছিল। এএফপি
[৪] সিকেনেনারে মিসরীয় সেনা নিয়ে পশ্চিম এশীয় একটি রাজবংশ হিসককদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। ১৯৬০ সালে সিকেনেনারের শরীর এক্সরে করা হয়েছিল। এতে তার মস্তিষ্কে আঘাত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। লড়াই বা প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে তিনি নিহত হয়েছিলেন বলে ধারণা পাওয়া যায়। ফ্রন্টিয়ার্স অব মেডিসিন’
[৫] সম্প্রতি সিকেনেনারে টাওয়ের সিটি স্ক্যান ও থ্রিডি ইমেজ তৈরি করেন গবেষকেরা। প্রত্নতাত্ত্বিক জাহি হাওয়াস এবং কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক সাহার সেলিম সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, যুদ্ধের ময়দানে বন্দী হওয়ার পর তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
[৬] সিটি স্ক্যানে মস্তিষ্কে আঘাতের বিস্তারিত পাওয়া গেছে। আগের পরীক্ষাতে এত বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। গবেষকেরা কায়রোর জাদুঘরে রাখা বিভিন্ন হিসকক অস্ত্রের আঘাতে আহত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেন।
[৭] গবেষকেরা বলেন, ওই ফারাও রাজা যখন মারা যান, তখন বয়স ছিল ৪০ বছর। তিনি সম্ভবত যুদ্ধের ময়দানে আটক হয়েছিলেন। তার হাত পিছমোড়া করে বাঁধা হয়েছিল। এরপর কোনো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়।