আবুল কাশেম :[২] জেলার শাহ্পরান বিআইডিসি এলাকায় সৎ মা ও বোন কে হত্যার দায়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন হত্যাকারী আবাদ হোসেন ও তার আপন মাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
[৩]শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আবাদকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
[৪] বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরান থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান।
[৫] তিনি জানান, শুক্রবার রাতে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলায় আসামি করা হয়েছে নিহত রুবিয়ার সৎ ছেলে আবাব হোসেন (২৩) ও তার মা সুলতানা বেগমকে (৪৬)। হত্যা ও প্ররোচণার দুটি ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
[৬] পুলিশ জানায়, নিহত রুবিয়া সিলেট শহরতলীর বিআইডিসি মীরমহল্লা এলাকার ব্যবসায়ী আবদাল হোসেন বুলবুলের দ্বিতীয় স্ত্রী। আর নিহত শিশু দু’টি এ দম্পতির। প্রথম পক্ষের ছেলে আহবাব তাদের হত্যা করে। আহবাব বিয়ানীবাজারে গ্রামের বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকতো। গত চার/পাঁচ মাস ধরে সে মীরমহল্লা এলাকায় এসে অবস্থান করছিল এবং বাবার সঙ্গে ব্যবসা দেখাশোনা করতো। সৎ মায়ের সংসারকে মেনে নিতে না পারায় এবং বাবার বঞ্চনার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে সৎ মা ও তার সন্তানদের হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে সে।
[৭] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ি ইউনিয়নের হাটগ্রামের ফরমান আলীর মেয়ে রুবিয়া বেগম। প্রায় ১০ বছর আগে বিআইডিসি মীরমহল্লায় বসবাসকারী বিয়ানীবাজারের অষ্টগ্রামের আবদাল হোসেন বুলবুলকে বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রী ও দুই সন্তান থাকার বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন বুলবুল। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে শহরতলীর বিআইডিসি মীরমহল্লায় ভাড়া বাসায় রাখেন। প্রথম স্ত্রীর খোঁজ তেমন রাখতেন না তিনি।
এরই মধ্যে অর্থাভাবে ছেলে আহবাব পড়ালেখা বাদ দেয়। গত পাঁচ মাস আগে সে শহরতলীতে বাবার ব্যবসা দেখাশোনায় যোগ দেয়। বিভিন্ন সময় সে সৎ মাকে হত্যার হুমকি দিয়ে তার বাবাকে ছেড়ে যেতে বলতো।
[৮] এদিকে, শুক্রবার ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে হত্যার আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) টিম। শনিবার নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় পুলিশ।
[৯] উল্লেখ্য যে, (১৮ ফেব্রুয়ারী) বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট শহরতলীর খাদিমপাড়া ইউনিয়নের বহর এলাকার মীর মহল্লা গ্রামের ৯ নম্বর বাসায় আবাদ হোসেন তার সৎ মা রুবিয়া বেগম (৩০), বোন জান্নাতুল মাহা (৯) ও ভাই তাহসানকে (৭) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে আবাদকে আটক করে পুলিশ। তবে এ হত্যার অন্তরালে পুলিশের ধারণা থেকে জানা যায় পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ