মঞ্জুরুল হক: আমি কোনো সরকারি দপ্তরে যাবো আর আমার সঙ্গে আমলাতান্ত্রিক প্যাঁচ কষে ধমনীর রক্ত চলাচল বন্ধ করে দেবে না, তা কী করে হবে! আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের ধমক-ধামকে দুইবারের চেষ্টায় মহান ‘সুরক্ষা’ ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম। দুই দিন দেরী করার পরও মোবাইলে মহান ডেট এলো না। ভাগনি বললো, টিকাকার্ড হার্ড কপি নিয়ে চলে যাও, দিয়ে দেবে। সকালে চুলে তেল দিয়ে, তেড়ি কেটে আতর মেখে বেশ ভ্যাকসিন ভ্যাকসিন আবেশে ফুরফুরে ভাব নিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় চলে গেলাম।
ভলান্টিয়াররা এনআইডি আর মেসেজ কনফার্মেশন চাইল। মেসেজ তো নেই! বললো, ‘চার তলায় অমুক রুমে যান। সেখান থেকে কনফার্মেশন নিয়ে আসেন’। গেলাম। স্যার নেই! কোথায় গেছে কেউ জানে না।
আমার মতো আরও জনা দশেক হতভাগা বসে-দাঁড়িয়ে আছে। স্যার নেই তো নেই-ই। এক ঘণ্টা পর ফের নিচে নেমে বললাম, অন্য কোনো স্যারের ইয়ে ধরতে হবে? তিনি তো নেই, কী করা যাবে? তারা জানালো, কিসসু করার নেই! ব্যর্থ মনোরথ হয়ে বিএনপি বিএনপি ফিলিং নিয়ে ফিরে এলাম। এখন শুনছি কেউ কেউ বলছেন, ‘এখন আর মেসেজ আসে না’। তাহলে? আমার ভ্যাকসিন অভিযানের এখানেই সমাপ্তি? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :