ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ: [২] মানবাধিকার কর্মী হানাদি হালওয়ানি ইসরায়েলের সৈন্যদের হাতে ৬৩ বার আটক হয়েছেন। পবিত্র আল-আকসা মসজিদে আট বছরের জন্য তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মিডিল ইস্ট মনিটরে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।
[৩] সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আমার সন্তানরা যখন পরীক্ষার জন্য পড়ে তখন ইসরায়েলের সৈন্যরা তাদের বই নিয়ে যায়। আমি বিভিন্ন সম্মেলনে অংশ নিতে চাইলে তারা আমাকে যেতে দেয় না। কারণ আমি ফিলিস্তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলের অপরাধ প্রকাশ করি। এমনকি ওরা আমাকে ওল্ড সিটিতেও প্রবেশ করতে দেয় না।
[৪] ইসরায়েলি পুলিশ ও সৈন্যরা ঠাণ্ডা মাথায় ফিলিস্তিনি তরুণদের হত্যা করে। তারা ফিলিস্তিনিদের জন্মের হার হ্রাস করতে কাজ করছে। এই জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে। অপর দিকে তাদের জন্মের হার বৃদ্ধি করছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা পুরো ফিলিস্তিন দখল করছে।
[৫] তিনি আরো বলেন, ইসরায়েলিরা বিভিন্ন সময় আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করে মদ পান করে। ইহুদিদের ধর্মীয় বই পাঠ করে। তারা সেখানে শূকরের মাংস খায়। তাদের এই সব কর্মকাণ্ড মুসলিমদের উস্কে দেয় জেনেও তারা এসব করে। আমি তাদের এই সকল কর্মকণ্ড প্রমাণের সাথে উন্মোচন করেছি।
[৬] হানাদি বলেন, ইসরায়েলিরা মুসলিম ও খ্রিস্টানদের পবিত্র স্থানের উপর প্রকাশ্যে হামলা করে। তারা আগের চেয়ে এই আক্রমণ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা আল-আকসাকে ধ্বংস করে নিজেদের ধর্মীয় উপাসনালয় বানাতে চায়। সম্পাদনা : রাশিদ