ইহুদিবাদী ইসরাইলের রেকর্ড নিবন্ধনের আবেদনগুলো আর পর্যালোচনা করবে না বলে জানিয়েছে গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি এক ঘোষণায় এমনটাই বলেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটি ইহুদিবাদী ইসরাইল থেকে একটি নতুন রেকর্ড নিবন্ধনের আবেদন পাওয়ার পর জানিয়েছে, তারা বর্তমানে ইসরাইলের পক্ষ থেকে পাঠানো কোনো আবেদন পর্যালোচনা করছে না।
জানিয়েছে, কিডনি দানকে উৎসাহদানকারী একটি ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান গিনেস রেকর্ডসে একটি আবেদন জমা দেওয়ার পর তারা জানায় যে, এই আবেদনটি তারা পর্যালোচনা করবে না।
সম্প্রতি দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কিডনি দাতাদের সংখ্যার ভিত্তিতে এই প্রতিষ্ঠানের কাছে একটি রেকর্ড নিবন্ধনের অনুরোধ করা হয়েছিল।
গিনেস ওই সংগঠনের আবেদনের জবাবে একটি চিঠি পাঠায়। তাতে বলা হয়েছে- ‘আমরা বর্তমানে ইসরাইল থেকে রেকর্ড নিবন্ধনের আবেদনগুলো পর্যালোচনা করছি না।’
ইসরাইলি চ্যানেল এন১২-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গিনেসের এই সিদ্ধান্ত (দখলকৃত) ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীর ও গাজাকেও প্রভাবিত করছে।
ফিলিস্তিনি অঞ্চলে স্বেচ্ছায় কিডনি দান কার্যক্রম পরিচালনা করা ‘মাতনাত চাইম’ নামের একটি সংস্থা দাবি করেছে, তারা মোট ২০০০ জন দাতাকে সংগঠিত করেছে, যারা অপরিচিত মানুষদের কিডনি দান করেছেন।
এই দাতাদের একত্রিত করে একটি গ্রুপ ছবি তুলে গিনেস রেকর্ডের জন্য আবেদন করেছিল সংস্থাটির।
তবে ব্রিটেনভিত্তিক রেকর্ড সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানটি তাদের আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
ইসরাইলের চ্যানেল ১২ আরও জানায়, গিনেস কর্তৃপক্ষ হঠাৎই প্রক্রিয়া স্থগিত করে ‘মাতনাত চাইম’–কে ইমেইলে জানিয়েছে যে তারা ‘বর্তমানে ইসরাইল বা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে রেকর্ড আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করছে না।’
বিষয়টি নিয়ে গিনেস কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেনি বলেও উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানটির দাবি, গিনেসের এই সিদ্ধান্ত ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।