অনির্বাণ আরিফ: অভিজিৎকে হত্যা করা হয়েছিলো ৬ বছর আগে, ২০১৫ সালে। আমার স্পষ্ট মনে আছে যেদিন অভিজিৎ হত্যা হলো সেদিন আমি আমার পরিচিত কারো কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে পারিনি, আমার হৃদয়ের রক্তক্ষরণ দেখাতে পারিনি। আমি সেদিন সারাদিন স্তব্ধ, বাকরুদ্ধের মতো চুপচাপ ছিলাম। অনলাইনের পেজ আর গ্রুপগুলোতে ছিলো উল্লাস। জামাতি পাড়ায় সেদিন ছিলো ঈদের আনন্দ। আজ ছয় বছর পর অভিজিৎ হত্যার রায় এলো। আদালত কাউকে মৃত্যুদণ্ড, আবার কাউকে কাউকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলো। আমি অবশ্য মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে নই।
অভিজিৎ হত্যার বিচার হয়েছে। আমি কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছি এবং আমি সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হয়েছি এই ভেবে যে, আজ আর ছয় বছর আগের সেই গুমোট অবস্থা নেই। এখন আমরা প্রকাশ্যে অভিজিৎদের জন্য শোকার্ত হতে পারি, বিচার চাইতে পারি। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এখন আর উগ্রবাদীদের একচ্ছত্র আধিপত্য নেই। সেখানেও আজ প্রতিবাদ হচ্ছে। বিশ্বাস না হলে বিবিসি বাংলার পাতার মন্তব্যের ঘর দেখুন, প্রথম আলোর নিউজ লিঙ্কের কমেন্ট বক্স ঘুরে আসুন। আমি জানতাম ধূসর কালো অন্ধকার চিরস্থায়ী নয়। গাঢ় অন্ধকার কেটে গেলে আবার আলো ফিরে আসে সে আলো কিছুটা হলেও এসেছে এবং সে আলো কণার বিচ্ছুরণে আজ বাংলাদেশের ঘরে ঘরে হাজার হাজার অভিজিৎ জন্ম নিয়েছে। লাখ লাখ তরুণ অন্ধত্বকে পার করে আলোর রেখায় চলতে শিখেছে, এটাও কম কীসে। ফেসবুক থেকে