ইসমাঈল ইমু : [২] রাজধানীর সুবজবাগে বাড়ী ও গরুর ফার্ম জোরপূর্বক দখল এবং ব্যবসায়িকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আযোজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আহত ব্যবসায়ি হাজী মো. রফেজ হাওলাদারের ছেলে ইউনুস আলী।
[৩] তিনি জানান, সবুজবাগ থানাধীন রাজারবাগ কালিবাড়ী বাগপাড়া এলাকায় দুটি দলিলে তার বাবা ও ভাই ইউসুফ আলী জমি ক্রয় করে বাড়ী ও নুসরাত ডেইরী ফার্ম এবং কবুতরের ফার্ম নির্মাণ করেন। কিন্তু সবুজবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন তাদের জমির উপর বহুতল ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দেন। রাজী না হলে ক্ষিপ্ত হয়ে নানানভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করে। পরে গতবছর ২৮ অক্টোবর সবুজবাগ থানায় জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে জিডি করেন ইউনুস। থানার ওসি ও পরিদর্শক (তদন্ত) জাকিরকে থানায় ডেকে মৌখিকভাবে এ ব্যাপারে সাবধান করে দেন।
[৪] ইউনুস জানান, থানার ওসি বদলি হওয়ায় গত ১৬ ডিসেম্বর জাকির বাহিনীর সন্ত্রাসীরা রাতের অন্ধকারে গরুর ফার্মের জানালার নেট কেটে ভিতরে ঢুকে ৩টি গরুকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করে মান্ডার খালে ফেলে দেয়। গত ৬ জানুযারি জাকিরের ঘনিষ্ঠ লোক রফিককে দিয়ে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে। পরদিন মধ্যরাতে জাকির তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জমি, বাসা ও ফার্মে জোরপূর্বক ঢুকে ফার্মের কর্মচারী ও বাড়ীর ভাড়াটিয়াদের মারধর করে বের করে দেয়। পাশপাশি তাদের ঘরে ঢুকে লুটপাট চালায়। সন্ত্রাসীরা ফার্মে থাকা ১৮টি গরুর মধ্যে ৪টি গাভি, ২টি ষাড়, ২টি খাসি এবং ২৫০টি কবুতর নিয়ে যায়।
[৫] এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। যা বর্তমানে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। ওই মামলার জের ধরে জাকির ও তার সন্ত্রাসীরা গত ৩ ফেব্রুযারি এশার এর নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার পথে তার বাবা রফেজ হাওলাদারের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারটি থানায় আরও একটি মামলা করে। সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকি থেকে রেহাই পাওয়া ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনুস আলীর বাবা হাজী রফেজ হাওলাদার, মা শেফালী বেগম,ভাই ইউসুফ আলী, তার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা।