সাদ্দাম হোসেন: [২] তার হুমকি সম্বলিত ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।
[৩] শনিবার ঠাঁকুরগাও পৌরসভার ভোটগ্রহণ। শুক্রবার প্রচারণায় গিয়ে নৌকার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে শহরের এক পথসভায় মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম বলেন, যাদের মনে ধানের শীষের সঙ্গে পীড়িত আছে, তারা ১৩ তারিখে ঠাকুরগাঁও ছেড়ে চলে যাবেন। ১৩ তারিখ সন্ধ্যার পরে তাদের দেখতে চাই না। তাদের ভোটকেন্দ্রে আসার কোনো প্রায়োজন নাই।
[৪] এর আগে বুধবার আরেক পথসভায় মাহমুদা বলেন, সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, যারা নৌকায় ভোট দিতে না চান, ১৩ তারিখ সন্ধ্যার পরে আপনাদের চেহারা এলাকায় দেখতে চাই না। কোথায় যাবেন আমি জানি না। তবে ঠাকুরগাঁওয়ে থাকতে পারবেন না। যারা নৌকায় ভোট না দেবেন, তারা ঠাকুরগাঁও থেকে বিদায় নেবেন।
[৫] এসব বক্তব্যের বিষয়ে জানতে মাহমুদা বেগমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
[৬] আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, পৌরসভায় ধানের শীষের ভোট তলানিতে ঠেকেছে। নিশ্চিত পরাজয় জেনে মাহমুদা আপার বক্তব্য এডিট করে বিএনপির লোকজন ছড়িয়ে দিতে পারে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কোথাও এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন না।
[৫] ধানের শীষের প্রার্থী শরিফুল ইসলামের অভিযোগ, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগমসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের এমন প্রকাশ্য বক্তব্যের পর ধানের শীষের কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। সাধারণ ভোটাররাও এতে শঙ্কিত। ভোটারদের হুমকি দেওয়ার ভিডিওর সিডিসহ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হচ্ছে।
[৬] জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জিলহাজ উদ্দিন বলেন, এ ধরনের কোনো সিডি আমরা পাইনি তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব বক্তব্য আমি শুনেছি যা ঠিক হলে অনেক গর্হিত কাজ, তদন্ত করে এসব ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।