শিমুল মাহমুদ: [২] সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
[৩] বেলা ১২টার দিকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরপরই কদম ফোয়ার দিক থেকে পুলিশ একযোগে সমাবেশের দিকে এগোতে থাকে এবং সমাবেশকারীদের সড়ক থেকে তুলে দেয়। এসময় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে বিএনপিকর্মীরা। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পুলিশ লাঠিপেটা করলে জবাবে ইট ছোড়ে বিএনপিকর্মীরাও।
[৪] সংঘর্ষের এক পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা তোপখানা রোড, জাতীয় প্রেস ক্লাবের ফটক ডিঙিয়ে পালাতে থাকে। প্রেস ক্লাবের ভেতরে আশ্রয় নেন দলের সিনিয়র নেতারা। এরপর বেলা ১২টা ৫০ মিনিটে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হলে তারা বেরিয়ে আসেন।
[৫] ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের সভাপতি যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে, দক্ষিণের কাজী আবুল বাশার এবং উত্তরের আবদুল আলীম নকীর পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় ডজন খানেক নেতা বক্তব্য রাখেন।
[৬] পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ শুরু করে। পুলিশ রাস্তা একটু ছেড়ে দিয়ে দাঁড়াতে বললে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল মারতে থাকে। ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।