প্রযুক্তি ডেস্ক: নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে মুঠোফোন ও ফাইবার সেবাদাতারা। মুঠোফোন নেটওয়ার্ককে অপটিক্যাল ফাইবারে যুক্ত করে ডিডব্লিউডিএম মেশিন। এই মেশিন দিয়েই ভয়েস ও ইন্টারনেট সেবার মান নিশ্চিত হয়। তবে হঠাৎ করেই ফাইবার সেবাদাতারা তাদের ফাইবারে এই মেশিন বসাতে দিতে চায় না। সময় টিভি
বর্তমানে মুঠোফোন সেবায় থ্রিজি ডাটার ন্যূনতম গতি দুই এমবিপিএস এবং ফোরজিতে ন্যূনতম গতি সাত এমবিপিএস রাখতে হয় অপারেটরদের। একজন গ্রাহক নির্ধারিত গতিতে সেবা পাচ্ছেন কিনা তা পর্যবেক্ষণ, নেটওয়ার্কের সর্বোচ্চ স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা এবং মুহূর্তেই ফাইবার কাটার নির্দিষ্ট স্থানও শনাক্ত করা যায় ডিডব্লিউডিএম মেশিনের মাধ্যমে। নীতিমালায় কোনো বাধা না থাকায় ২০১২-১৯ সাল পর্যন্ত বিটিআরসির অনুমতি নিয়ে এই যন্ত্র আমদানি করছে মুঠোফোন অপারেটররা।
তবে সম্প্রতি প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার এনটিটিএন নেটওয়ার্কে মুঠোফোন অপারেটরদের পরিবর্তে নিজেরাই ডিডব্লিউডিএম মেশিন বসানোর দাবি তুলেছে বেসরকারি বড় দুই ফাইবার সেবাদাতা। তারা বলছে, মুঠোফোন অপারেটররা শুধুমাত্র নিজেদের ফাইবারে ডিডব্লিউডিএম মেশিন বসাতে পারবে। যার আওতা প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার। বিষয়টি গড়িয়েছে আইনি লড়াইয়ে।
রবির হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স সাহেদ আলম বলেন, 'কাস্টমার ৭ এমবিপিএস গ্রাহকের সার্ভিস পাওয়ার কথা কিন্তু আমার যদি ডিডব্লিউএম না থাকে আমি কীভাবে জানব আমার কাস্টমার সে সার্ভিসটা পাচ্ছে কিনা। আমি কীভাবে প্ল্যানিংগুলো করব।'
গত সেপ্টেম্বরে বিটিআরসির ২৪৩ তম কমিশন সভায় দুই বছরের জন্য মুঠোফোন অপারেটরদের এনটিটিএন নেটওয়ার্কে ডিডব্লিউডিএম স্থাপন ও ব্যবহারের সুযোগ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। মেয়াদ শেষ না হলেও বর্তমানে এই যন্ত্র আমদানির অনাপত্তিপত্র দিচ্ছে না বিটিআরসি।
বিটিআরসি প্রকৌশল ও পরিচালক বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'কাদের কাছে ডিডব্লিউডিএম থাকবে অলমোস্ট একটা সমাধান শেষ পর্যায়ে আছে। ১৫ দিন থেকে ১ মাসের মধ্যেই এটা সমাধান হয়ে যাবে।
বর্তমানে চার মুঠোফোন অপারেটরকে ফাইবার সেবা দিচ্ছে ছয় এনটিটিএন অপারেটর।
ছয় ফাইবার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো- সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড, ফাইবার অ্যাট হোম, বাহন লিমিটেড, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড-বিটিসিএল, বাংলাদেশ রেলওয়ে, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ