ইমরুল শাহেদ: আফসানা মিমি শুধু একজন অভিনেত্রীই নন, তিনি একজন দক্ষ সংগঠকও। তিনি এখন নিয়মিত অভিনয় না করলেও তাকে নাটক নির্দেশনায় দেখা যায় মাঝে মধ্যেই। তিনি বর্তমানে কথাশিল্পী শওকত আলীর ত্রয়ী উপন্যাস ‘দক্ষিণায়নের দিন’ অবলম্বনে নির্মাণ করছেন ধারাবাহিক ‘সায়ংকাল’। ধারাবাহিকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন মনসুর রহমান চঞ্চল ও আফসানা মিমি। পাশাপাশি এখানে অভিনয়ও করেছেন আফসানা মিমি। আর একদিন পরই বাংলাদেশ টেলিভিশনে ধারাবাহিকটির সম্প্রচার শুরু হচ্ছে। সপ্তাহের প্রতি রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার প্রচারিত হবে ধারাবাহিকটি। ‘সায়ংকাল’ প্রযোজনা করেছেন এল রুমা আকতার। দীর্ঘ এ ধারাবাহিকটিতে মিমি ছাড়াও অভিনয় করেছেন খায়রুল আলম সবুজ, শহীদুজ্জামান সেলিম, সানজীদা প্রীতি, শাহাদাৎ হোসেন, শামস সুমন, নাঈম, সুষমা সরকার, স্বাগতা, শর্মীমালা, রাজীব সালেহীন, মুবিদুর সুজাত, জয়িতা মহলানবীশ প্রমূখ। প্রশ্ন হচ্ছে, সাহিত্যনির্ভর ভিস্যুয়াল কাজ এখন অনেকটাই কমে গেছে। এই সময়ে আফসানা মিমির উদ্যোগ প্রসংশারই দাবিদার।
আফসানা মিমি বলেন, ‘বিটিভি থেকে যখন নতুন নাটক তৈরির ব্যাপারে আলাপ হচ্ছিল, তখন মহাপরিচালক স্যার সাহিত্যনির্ভর কাজের ব্যাপারে আগ্রহ দেখালেন। আমি তখন ‘দক্ষিণায়নের দিন’ নতুন করে দর্শকের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে পারি কি না, বলতেই তিনি বেশ উৎসাহ দেন। মূলত ‘৩০ থেকে ৩৫ বছর আগে ‘দক্ষিণায়নের দিন’ বাংলাদেশ টেলিভিশনে একবার প্রচার হয়েছিল। উপন্যাসটি আবার নতুন প্রজন্মের দর্শককে পরিচয় করিয়ে দেওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য। একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের উত্থান, পতন, সংগ্রাম, ভালোবাসার সমন্বয়ে বৃহত্তর জীবনের পূর্ণ রূপ তুলে ধরা হয়েছে ‘সাংয়কাল’-এ। সায়ংকালের প্রেক্ষাপট গত শতাব্দীর ৯০ দশকের। উপন্যাসের মূল চরিত্রদের ঠিক রেখে বদলে গেছে সময়কাল, যুক্ত হয়েছে নতুন কিছু চরিত্র।’
উল্লেখ্য, নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আফসানা মিমি ২০০০ সালে ধারাবাহিক নাটক ‘বন্ধন’ দিয়ে পরিচালনায় আসেন। একুশে টিভিতে প্রচারিত ‘বন্ধন’ ধারাবাহিকটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আফসানা মিমি এরপর একে একে নির্মাণ করেন দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘গৃহগল্প’, ‘সাড়ে তিনতলা’, ‘কাছের মানুষ’ ও ‘ডলস হাউস’, ‘পৌষ ফাগুনের পালা’, ‘সাতটি তারার মিমির’।