শওগাত আলী সাগর : [১] অভিযোগটা কানাডার সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল জনাথন ভান্সের বিরুদ্ধে। সেনাবাহিনী পুলিশ সেটির তদন্তও করছে। তবুও সংসদীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে- ফেডারেল লিবারেল সরকার অভিযোগের ব্যাপারে ঠিকঠাকমতো পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে শুনানি করবে। প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রত্যেকেই এই ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।
[২] সাবেক সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ২০১২ সালে তিনি পদমর্যাদায় তার অনেক নিচের কোনো কোনো নারী সহকর্মীকে এমন মন্তব্য করেছেন, যেটি যৌন হয়রানির পর্যায়ে পরে। গত পাঁচ বছর জনাথন ভান্স কানাডার প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ছিলেন, এ সময়ে সেনাবাহিনীর ভেতরে যৌন হয়রানি বন্ধে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। প্রতিরক্ষা বাহিনীর পদ থেকে অবসরে যাবার পরই গ্লোবাল নিউজ তার বিরুদ্ধে এ ধরনের একটি গুরুতর অভিযোগসম্বলিত খবর প্রকাশ করে।
গ্লোবাল নিউজ অবশ্য বলেছে, জেনারেল ভান্সের বিরুদ্ধে সহকর্মী কোনো নারীর সঙ্গে জোরপূর্বক কিংবা সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের কোনো অভিযোগ নেই (পদমর্যাদায় নিচের কোনো নারীর সঙ্গে সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক নিয়েও আপত্তি আছে, কেননা সেখানে প্রচ্ছন্ন প্রভাব কাজ করে)। অভিযোগ হচ্ছে তিনি কোনো কোনো নারীকে এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যেটি যৌন হয়রানির পর্যায়ে পরে। জেনারেল ভান্স বলেছেন, তিনি কাউকে যৌন হয়রানি করেছেন, এমন কথা তার মনে পরছে না। ঠাট্টা করে হয়তো কিছু বলে থাকতে পারেন, আর সেটির জন্য তিনি ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আছেন।
[৩] প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সেনাবাহিনীর প্রভাব থেকে মুক্ত স্বাধীন একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। যেই কমিটি অভিযোগ খতিয়ে থাকবে। সেনা বাহিনী পুলিশের নিজস্ব তদন্তের বাইরে এটি ফেডারেল সরকারের পদক্ষেপ। আর সরকার, সেনাবাহিনীর তদন্ত ঠিকমতো হচ্ছে কিনা সেটি দেখতে চায় সংসদীয় কমিটি।
[৪] গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হচ্ছে- কোনো অভিযোগকে উড়িয়ে না দিয়ে, ঠিক কী ঘটেছে তা খুঁজে বের করা। সেটি কে করলেন, কোন পদ মর্যাদার লোক করলেন, সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। সরকার, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ঠিকমতো তাদের দায়িত্ব পালন করছে কিনা সেটি দেখার মতো সক্ষমতা সংসদ সদস্যদের, সংসদীয় কমিটির থাকতে হয়। সেটি সামরিক কিংবা বেসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মন্ত্রী কিংবা রাজনীতিক, যেই হোক না কেন। ফেসবুক থেকে