এএইচ রাফি: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার পিছ ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় মা-ছেলেকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও আদেশে তাদের দুইজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ ১ম আদালতের হাকিম সাবেরা সুলতানা খানম এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
[৩] মামলায় দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দির কালা মিয়ার স্ত্রী ঝরনা বেগম (৫৪) ও তার ছেলে সুমন (২৮)। তবে রায় প্রদান কালে সুমন উপস্থিত থাকলেও মা ঝরনা বেগম পলাতক ছিলেন।
[৪] আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দিতে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ঝরনা বেগম ও তার ছেলে সুমনকে আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরেক অভিযানে মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি স্পীডবোর্ড আটক করা হয়।
[৫] এ সময় পলাতক ফরিদ মিয়া ও সবুজ মিয়া নামের দুইজন সহ মা- ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় সবুজ মিয়ার সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে বাদ দিয়ে ৩ আসামীকে অভিযুক্ত করে। চার্টশিট প্রদান করা হয়। এরই মাঝে ঝরনা বেগম ও তার ছেলে সুমন ছেলে জামিনে বের হয়। বুধবার রায় প্রদান কালে ছেলে সুমন মিয়া উপস্থিত হলেও মা ঝরনা বেগম পলাতক ছিলেন।
[৬] অপর আসামি ফরিদ মিয়াকে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় বেকসুর খালাস প্রদান করে আদালত।
[৭] এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) অ্যাডভোকেট শরীফ হোসেন বলেন, 'এই মামলার রাষ্ট্রপক্ষ মনে করে রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক সঠিক ও যৌক্তিক ভাবে এই রায় প্রদান করেছেন'। সম্পাদনা: সাদেক আলী