দেবদুলাল মুন্না: [২] এ তথ্য গতকাল বুধবার নিশ্চিত করেছেন ব্র্যাক বিশ্বদ্যিালয়ের মিডিয়া সেলের উপ নির্বাহী রাজীব আবদুল্লাহ। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ। সেখানে পড়ানো হয় জনস্বাস্থ্যের ওপরে আন্তর্জাতিক মাস্টার্স। এ বিভাগে পড়ছেন বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের শিক্ষার্থীরা।হো চি মিন ও তাসনুভা ভর্তি হয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরিত নারী পরিচয়ে। গত ২৪ জানুয়ারি তারা ভর্তি হয়েছেন।
[৩] কোর্সটির সহকারী সমন্বয়কারী তাহসিন মাদানী হোসেন একটি বার্তা সংস্থাকে বলেন, এবারের ব্যাচটি ১৭তম। ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে এই কোর্সে হো চি মিন এবং তাসনুভাই প্রথম। তাঁরা লিখিত, মৌখিক পরীক্ষাসহ প্রতিটি ধাপেই খুব ভালো করেছেন। হো চি মিনের নার্স হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। তাসনুভা সমাজসেবামূলক কাজে জড়িত।
[৪]এখন অনলাইনে ক্লাস করেছেন হো চি মিন ও তাসনুভা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন নিজেরাই। এরপর থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের শুভেচ্ছায় ভাসছেন।
[৫] হো চি মিন ছিলেন স্কয়ার হাসপাতালের নিবন্ধিত নার্স। দুই বছর কাজ করেছেন কার্ডিয়াক আইসিইউতে। বগুড়ায় জন্ম । তাসনুভার জন্ম বাগেরহাটে। ২০১৪ সাল থেকে তিনি ঢাকায়। সমাজকর্ম বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন।তার আগের নাম ছিল কামাল। হরমোন থেরাপি, মানসিক থেরাপিসহ বিভিন্ন ধাপ পার হয়ে ভারতের কলকাতায় গিয়ে অস্ত্রোপচারও করান। দুজনেই ফেসবুকে গত মঙ্গলবার রাতে লিখেছেন, তাদের আস্তর্জাতিক কোর্সে স্বীকৃতি দেওয়ায় তারা গর্বিত।
আপনার মতামত লিখুন :