শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:২২ দুপুর
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:২২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ’এর হত্যার অভিযোগ তদন্ত ও বিচার করতে বললো হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

লিহান লিমা: [২] আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এইচআরডব্লিউ এর মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত সরকারের বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনের নতুন অভিযোগের ঘটনার তদন্ত এবং জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এইচআরডব্লিউওয়েব

[২]সংস্থাটি জানায়, ১০ বছর আগে এইচআরডব্লিউয়ের ‘ট্রিগার হ্যাপি’ প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভারত সরকার বিএসএফকে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারকারীদের বিরুদ্ধে কিছুটা নমনীয় হতে এবং প্রাণঘাতি গুলির পরিবর্তে রাবার বুলেট ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিল।২০২০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার সময় ভারত সীমান্ত হত্যা বন্ধের আশ্বাসও দিয়েছিল।

[৩]তবে ভারতীয় এবং বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এইচআরডব্লিউ বলছে, দুই দেশের সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের ওপর বিএসএফ এখনো নিপীড়ন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং দুর্ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে।

[৪]বেসরকারি সংস্থা ‘অধিকার’ এর প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, গত ১০ বছরে বিএসএফ ৩৩৪ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে ৫১ জনকেই হত্যা করা হয়েছে ২০২০ সালে।

[৫]এইচআরডব্লিউ’র দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, ‘বিএসএফকে দেয়া ভারত সরকারের গুলি ব্যবহারে নমনীয়তা প্রদর্শনের নির্দেশ কোনো কাজে আসে নি। নতুন করে হত্যা ও চরম নির্যাতন বন্ধ হয় নি।’ গাঙ্গুলি অভিযোগ করেন, ‘সরকার নিরাপত্তা বাহিনীকে জবাবদিহি করতে না পারার কারণেই দরিদ্র ও অসহায় জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে।’

[৬] এইচআরডব্লিউ জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যকাণ্ডে বিএসএফএর কোনো সদস্যকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয় নি। এমনকি বহুল আলোচিত কিশোরী ফেলানি হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবলকে বিশেষ আদালতে দুই দফা বিচারের পর খালাস দেয়া হয়েছে। বিচারও ভারতের সুপ্রিমকোর্টে ঝুলে রয়েছে। এ মামলায় নতুন করে বিচারের আবেদনটি এখন ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে আছে।

[৭]এইচআরডব্লিউ বলেছে, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহাওে জাতিসংঘের মূলনীতিগুলো ভারত সরকারের মেনে চলা উচিত। গাঙ্গুলি বলেন, ‘নিজেদের সীমান্ত রক্ষীদের হাতে বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যার সংস্কৃতি বন্ধে ভারত সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতিতে প্রতিশ্রুতবদ্ধ হতে হবে। অপরাধী সদস্যকে বিচারের আওতায় এনে ভারত এই অঞ্চলে আইনের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা দেখাতে পারে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়