চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র পুরানো সিএনজি স্ক্র্যাপ কার্যক্রম সম্পন্ন, নতুন নিবন্ধন পাচ্ছে ৪ হাজার
রিয়াজুর রহমান: বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিস প্রাঙ্গণে ২০০৪ সালে তৈরি সিএনজি অটোরিক্সার স্ক্র্যাপ কার্যক্রম সম্পন্ন করে নতুন ৪ হাজার অটোরিকশা নামানো হচ্ছে।
কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়াই সিএনজি চালিত অটোরিকশা স্ক্রাপ করছে বিআরটিএ। এখন স্ক্র্যাপকৃত এসব অটোরিকশা মালিকদের অনুকূলে নতুন কেনা গাড়ির নিবন্ধন দিচ্ছে চট্টগ্রাম বিআরটিএ।
করোনার কারণে মেয়াদোত্তীর্ণ ২০০৪ মডেলের সিএনজি অটোরিকশা স্ক্র্যাপকরণ প্রায় ১০ মাস বন্ধ ছিল। গত ১৬ নভেম্বর থেকে পুনরায় স্ক্র্যাপকরণের কাজ শুরু করেছিল চট্টগ্রাম বিআরটিএ। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ৩ হাজার ৬১৯ টি পুরনো সিএনজি অটোরিকশা স্ক্র্যাপ করা হয়েছে।
বিআরটিএ কার্যালয়ে ঘুরে দেখা যায়, বিআরটিএর কর্মচারীরা যাতে কোন ধরনের অনিয়ম করতে না পারে যে জন্য বেসরকারি কয়েকটি শো-রুমকে ডাটা এন্ট্রি করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এসব শো-রুমের মধে রয়েছে ইমাম ডেন্টিং, জাফর অ্যান্ড কোম্পানি, রাজামিয়া অ্যান্ড সন্স, এসবি করপোরেশন, গাউসিয়া ট্রেডার্স, মেসার্স দিলু মিয়া, বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ, মঞ্জুর অ্যান্ড কোম্পানি, শাহজালাল এন্টারপ্রাইজ।
চট্টগ্রাম বিআরটিএ’র সুএে জানা গেছে, ২০০১ সাল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১৩ হাজার করে ২৬ হাজার সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধন দিয়েছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ। এই সব সিএনজি অটোরিকশা নিবন্ধনের সময় মেয়াদ বা আয়ুষ্কাল নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ বছর। পরে মালিক ও চালকদের দাবির মুখে তিন দফায় অটোরিকশাগুলোর মেয়াদ বাড়িয়ে ১৫ বছর করা হয়। যে কারণে পরিবেশগত ক্ষতির প্রভাবমুক্ত হতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইতোমধ্যে ঢাকায় নিবন্ধিত ১৩ হাজার অটোরিকশা ইতোমধ্যে স্ক্র্যাপ করে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রামে ২০০১, ২০০২ ও ২০০৩ মডেলে তৈরিকৃত এমন সাড়ে পাঁচ হাজার সিএনজি অটোরিকশা ও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়।
এবিষয়ে বিআরটিএ'র চট্টমেট্রো সার্কেলের সহকারী পরিচালক তৌহিদুল হোসেন বলেন, বিআরটিএ সিএনজি অটোরিকশা স্ক্যাপ করণ কার্যক্রমের আহবায়ক উপ-পরিচালক মহোদয় তারিখ ভিক্তিতে গাড়ির নম্বর উল্লেখ করে চট্টগ্রামের বহুল প্রচারিত পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। কোন সমস্যা ছাড়াই সিএনজিগুলো স্ক্র্যাপ করা হয়েছে। এখন স্ক্র্যাপকৃত সিএনজিগুলোর রিপ্লেসমেন্ট নম্বর দেয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের বিআরটিএর উপপরিচালক (প্রকৌশল) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, নিয়ম মেনেই চট্টগ্রামের অটোরিকশাগুলো পর্যায়ক্রমে স্ক্র্যাপ করা হয়েছে। কেউ যাতে ভোগান্তির মধ্যে না পড়েন সেজন্য নিয়ম মেনে বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে ম্যাজিস্ট্রেট ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার স্ক্র্যাপ করা হয়েছে। এতে কোনো অনিয়ম বা ভোগান্তি সযোগ নেই। এখন নতুন রিপ্লেসমেন্ট নতুন নম্বর দেয়া হচ্ছে।