রাশিদুল ইসলাম : [২] ব্রিটেনে ৬২ হাজার শিক্ষার্থীকে গত মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চিহ্নিত করা হয়েছে যারা দুশ্চিন্তার বেড়াজালে আটকে গেছে। ইমপ্যাক্টইডি’র সমীক্ষা বলছে মহামারীতে ছেলেদের চেয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীরা ১০ শতাংশ বেশি উদ্বেগে ভুগছে। ডেইলি মেইল
[৩] স্কুলশিক্ষার্থীদের ওপর কোভিড কি পরিমান নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে তা জানতে এ সমীক্ষায় শেষ পর্যন্ত শঙ্কা করা হচ্ছে একটি প্রজন্মই হয়ত হারিয়ে যেতে পারে।
[৪] পরীক্ষার জন্যে জোর প্রস্তুতি নেওয়ার পর কোভিডে তা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় এধরনের হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মানসিক অবসাদ এতই গভীর যে অনেকে শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়ছে।
[৫] এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি অসুস্থতায় ভুগছে। যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
[৬] স্কুলকর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের প্রকৃত ঝুঁকি খুঁজতে যেয়ে দেখতে পেয়েছে মহামারীর আগে তাদের অনেকেই মানসিকভাবে এতটা দুর্বল ছিল না এবং তারা বেশ ভালভাবেই পারিপাশির্^কতার সঙ্গে লড়াই করতে পারত।
[৭] ফলে গত জুন ও নভেম্বরে দশম ও একাদশ শ্রেণীরা শিক্ষার্থীরা সর্বনিম্ন স্কোর করেছে।
[৮] ২০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে অন্তত ৩ জন শিক্ষার্থী হোম ওয়ার্ক বুঝতেই পারেনি। পরিবারের কাছে এব্যাপারে প্রশ্ন করেও তারা কোনো সাহায্য পায়নি। গরিব পরিবারগুলো ডিজিটাল বৈষম্যে আরো বেশি খেসারত দিয়েছে।
[৯] গত সেপ্টেম্বরে স্কুলে ফিরে আসার পর তাদের লেখাপড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা আরো বৃদ্ধি পায়। পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং শেষমেষ তা বাতিল তাদের ওপর আরো বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। শিক্ষার্থীরা অকপটে জানায় তারা মানসিক চাপ থেকে বের হয়ে আসতে পারছে না।