লিহান লিমা: [২] দ্য গার্ডিয়ানের একটি ডকুমেন্টারিতে প্রকাশ হয়েছে, ব্রিটিশ রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার বিপুল পরিমাণ ব্যক্তিগত সম্পদের তথ্য জনসম্মুখ হতে গোপন রাখতে সরকারকে একটি খসড়া আইন প্রবর্তনে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন।
[৩]১৯৭৩ সালে প্রস্তাবিত একটি স্বচ্ছতা বিলে রাণী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তার শেয়ার প্রকাশিত হয়ে পড়তে পারে। তাই তিনি আইনী পরিবর্তন আনতে আইনজীবী নিয়োগ দেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রাণীর শেয়ার জনসম্মুখ হতে গোপন রাখতে রাণীর ব্যক্তিগত আইনজীবী ব্রিটিশ মন্ত্রীদের আইন পরিবর্তন করতে চাপ প্রয়োগ করেন।
[৪]রাণীর হস্তক্ষেপের ফলে সরকার ‘রাষ্ট্রপ্রধান’ যে সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত সেগুলোকে স্বচ্ছতামূলক পদক্ষেপ হতে ছাড় দিয়ে একটি আইন করে।
[৫]ব্রিটেনে ‘কুইন কনসেন্ট’ নামে একটি পার্লামেন্টারি প্রক্রিয়া রয়েছে। তাই রাণীর জ্ঞাতসারে এমন আইন পাশ অবৈধ নয়। রাণীর মুখপাত্র জানান, কুইন কনসেন্ট একটি পার্লামেন্টারি প্রক্রিয়া, সরকারের অনুরোধে রাণী সবসময়ই সম্মতি প্রদান করে। সরকার গৃহীত কোনো সিদ্ধান্ত কিংবা রাণীর ব্যক্তিগত সম্পদ ও রাজকীয় স্বার্থ রক্ষার্থে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কর্তৃক এটি স্বীকৃত।’
[৬]রাণীর ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ কখনোই প্রকাশিত হয় নি। ধারণা করা হয় শত শত কোটি পাউন্ড সম্পদ রয়েছে রাণীর।
আপনার মতামত লিখুন :