মুরাদুল ইসলাম : বাকস্বাধীনতা বলতে যে সোশ্যাল,পলিটিক্যাল দর্শনের বস্তু আছে, তার দ্বারা বুঝায় মুক্তভাবে অনেক চিন্তা প্রকাশের আইনগত অধিকার, যেখানে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। কিন্তু এই অধিকার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির ক্ষেত্রে নয়, তারা বাক সীমিত করতে পারে। কারণ বাকস্বাধীনতার অর্থ কথা না বলার অধিকারও।
এই কথা না বলার অধিকার প্রাইভেট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বাক স্বাধীনতা অধিকারের অংশ, তাই তারা বাক সীমিত করতে পারে। অনেক মানুষ এই বেসিক জিনিস বুঝে না। বাকস্বাধীনতা বলতে মনে করে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছেও তার এই অধিকার আছে। ফলে তারা আসলে মানুষের বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে যায়। ফ্রিডম অফ স্পিচের অধিকারের মধ্যে আছে, কারও কথা না শোনার অধিকার।
এবং এটি আনলিমিটেড অধিকার না। কারণ আনলিমিটেড হলে অন্যান্য অধিকারের সঙ্গে সংঘর্ষ হবে। যেমন, কেউ বাকস্বাধীনতার নামে কারও নামে অন্যায় কুৎসা করতে পারবে না বা কোনো কমিউনিটির নামে ঘৃণা ছড়াতে পারবে না। মূল কথা, ফ্রিডম অব স্পিচ সরকারের কাছে অধিকার। দুই ধাপে, এক যাতে সরকার মুক্তভাবে কথা বলার আগে কোনো বাঁধা প্রদান করে এবং দুই, যাতে কথা বলার পরে কোনো শাস্তি না দিতে পারে। উদ্দেশ্য, সরকারের সমালোচনার জায়গা রাখা, যাতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকে এবং ব্যক্তি স্বাধীনতাকে রক্ষা করা। দর্শন, সমাজ, বাকস্বাধীনতা। ফেসবুক থেকে